Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩

পুলিশের তৎপরতায় পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে আরও ৯৯ টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার

 

99-fresh-cartridges-recovered

সমকালীন প্রতিবেদন : ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের সামগ্রী হিসেবে এবার উঠে এলো বন্দুকের গুলির কথা। প্রশাসনিক অভিযানে এমনই তথ্যপ্রমাণ মিললো। বিএসএফ এবং পুলিশের তৎপরতায় দুই ধাপে সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার হল ১৫০ টি তাজা কার্তুজ।

দিন দুই আগেই পেট্রাপোল সীমান্তের জয়ন্তীপুর এলাকায় কাঁটাতারের পাশ থেকে ৪১ টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এই ঘটনায় গিয়াসউদ্দিন মন্ডল এবং মহম্মদ নাজির হোসেন মোল্লা নামে দুজনকে আটক করে বিএসএফ। পরে তাদের পেট্রাপোল থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বনগাঁ আদালতে তোলার পর বিচারকের নির্দেশে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। আর তখনই আরও তাজা কার্তুজের সন্ধান পায় পেট্রাপোল থানার পুলিশ। ধৃতরা জানায়, সীমান্তের কাছে একটি ঘরের ভেতরে আরও কার্তুজ লুকিয়ে রাখা আছে।

সেই অনুযায়ী গতকাল ধৃতদেরকে সঙ্গে নিয়ে নির্দিষ্ট বাড়িতে হানা দিয়ে সেখান থেকে আরও ৯৯ টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাহাজাহান সরদার, কৃষ্ণভূষন কর এবং তাপস খাঁ নামে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

বনগাঁর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা এদিন পেট্রাপোল থানায় বসে সাংবাদিকদের জানান, 'বিএসএফের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পেট্রাপোল থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর তখনই নতুন করে আরও কার্তুজের সন্ধান মেলে। বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে এগুলি জড়ো করা হয়েছিল।'‌ 


: ‌এই খবরের ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :

ধৃতদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের মধ্যে তাপস খাঁকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ মনে করছে, সীমান্ত এলাকায় ভারত থেকে বাংলাদেশে কার্তুজ পাচারের একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। আর সেই অবৈধ কারবারে যুক্ত রয়েছে ধৃতরা। 

এই কারবারে আরও কারা কারা জড়িত আছে, কোথা থেকে এই কার্তুজগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা জানতে তাপস খাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। তদন্ত আপাতত যতটুকু এগিয়েছে, তাতে পুলিশ মনে করছে, তাপস খাঁ–ই এই কারবারের মূল পান্ডা। 









কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন