সমকালীন প্রতিবেদন : রাত তখন প্রায় সাড়ে ১১ টা। দলীয় কর্মসূচি সেরে সবে বাড়ি ফিরেছেন উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা দক্ষীণের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ মন্ডল। আর তখনই দুই সশস্ত্র দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালায়। পর পর তিনটি ফায়ার করে। এমনই দাবি আব্দুর রউফের।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙা থানার ঝনঝনিয়া গ্রামে বাড়ি আব্দুর রউফের। শুক্রবার রাতে বেড়গুম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝনঝনিয়া গ্রামে দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেই কাজ সেরে রাত ১১ টা ২০ মিনিট নাগাদ বাড়িতে ফেরেন।
তিনি জানান, বাড়ির ভেতরে ঢোকার জন্য সবে একটা গেট খুলেছেন। তখন দুই ব্যক্তি স্কুটিতে করে বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল। গাড়িটি রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে একজন তাঁর দিকে এগিয়ে আসে। মাথার হেলমেট খুলতেই বুঝতে পারেন সে আরাবুল মন্ডল।
আব্দুর রউফের দাবি, ফুট চারেক দুরত্ব থেকে হঠাৎ করেই আরাবুল তাঁকে উদ্দেশ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালাতে থাকে। পর পর তিনটি ফায়ার করে। কিন্তু একবারও গুলি বের না হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এরপর তিনি আরাবুলের হাত চেপে ধরেন।
প্রথমে দুজনেই পরে যান। তারপর কোনওক্রমে উঠে দাঁড়ায় আরাবুল। এরপর স্কুটি নিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুই দুষ্কৃতী। আব্দুর রউফ এরপর চিৎকার করতে থাকেন।
তাঁর চিৎকার শুনে রাস্তায় পায়চারি করা প্রতিবেশি এক ভাই ওই দুষ্কৃতীদের থামানোর চেষ্টা করলেও হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে তিনি আর এগোন নি। সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা পাশের একটি পাটক্ষেতের পাশ দিয়ে পালিয়ে যায়।
আব্দুর রউফের দাবি, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে তাঁর উপর এই হামলা চালানো হয়েছিল। অভিযুক্ত আরাবুলের বিরুদ্ধে এর আগে বিভিন্ন থানায় একাধিক দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে। শেষবার মাদক পাচারের অভিযোগে ৫ বছর জেলও খাটে সে।
এই ঘটনায় গোবরডাঙা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও বিরোধীদের দাবি, গোটাটাই আব্দুর রউফের বানানো গল্প। এমন কোনও হামলার ঘটনাই ঘটে নি। রাজনৈতিক মাইলেজ নেওয়ার জন্য মিথ্যা গল্প তৈরি করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন