সমকালীন প্রতিবেদন : বন্যপ্রাণী সংরক্ষনের নিয়ম অনুযায়ী ময়ূর বাড়িতে পোষা যায় না। সেই নিয়েই শুরু হয় গোলযোগ। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মীরেপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণচন্দ্র কিস্কু শখ মেটাতে গিয়ে আইনের ঝামেলায় পরে গিয়েছেন।
জানা গেছে, তাঁর এক আত্মীয় কিছুদিন আগে একটি মুরগির ছানা পুষতে দিয়েছিলেন। এরপর কিস্কু পরিবার যত্ন আত্তি করে সেই মুরগিটিকে লালন-পালন করতে শুরু করে। কিন্তু, যত দিন যায় ততই সন্দেহ বাড়তে থাকে এই মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের।
যাকে মুরগি ভেবে তাঁরা লালন পালন করছিলেন, সে আসলে একটি ময়ূর। ব্যাস শুরু হয় গন্ডগোল। বাড়িতে ময়ূরটিকে রাখার জন্য বনদপ্তরের কর্মীদের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের কর্মীরা ময়ূরটিকে জঙ্গলে ছাড়ার কথা বলেছে।
বনদপ্তরের এই নির্দেশে অবশ্য সাড়া দিয়েছে কিস্কু পরিবার। তাতেও দেখা দিয়েছে সমস্যা। ময়ূরটি আর বাড়ি ছেড়ে যেতে চাইছে না। বনদপ্তরের কর্মীরা পূর্ণচন্দ্র কিস্কুর বাড়িতে পৌঁছে ময়ূরটিকে বাড়ির চালা এবং আশাপাশের গাছে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন।
তবে সারাদিন বহু চেষ্টা করেও সেই ময়ূরটিকে খাঁচাবন্দি করা সম্ভব হয়নি। যদিও বনদপ্তরের কর্মীরা হাল ছাড়েননি। এদিকে এই দৃশ্য দেখে চোখে জল কিস্কু পরিবারের। পাড়ার লোকেরাও ভিড় জমান ওই বাড়ির চারিদিকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন