সমকালীন প্রতিবেদন : স্ত্রীর ও শাশুড়ি কে সার্ভিস রুল দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠলো এক পুলিশ কনেস্টবলের বিরুদ্ধে। আঘাতে হাত ভেঙে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাশুড়ি। স্ত্রীর অভিযোগে পুলিশ কনেস্টবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁ থানার চৈতল এলাকার ঘটনা। পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বছর সাতেক আগে শম্পা মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় ভাঙ্গড় থানার চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা মৃন্ময় নস্করের।
বছরখানেক সব ঠিকঠাক চললেও এরপর থেকে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। পারিবারিক এই অশান্তী তারপর থেকে লেগেই থাকতো। মৃন্ময় নস্কর রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। বর্তমানে সে কাকদ্বীপ থানায় কর্মরত।
তার স্ত্রী শম্পা নষ্করের অভিযোগ, তাঁকে প্রায়ই মারধর করতো মৃন্ময়। পাশাপাশি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিত। কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ। কখনো কখনো রাস্তায়ও বের করে দিতো বলে অভিযোগ।
সপ্তাহখানেক আগে শম্পাকে মারধোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর শম্পা বাপের বাড়ি চলে আসেন। বৃহস্পতিবার বিকালে দুটি মোটরবাইকে করে মৃন্ময় সহ চারজন হঠাৎই হাজির হয় শম্পার বাপের বাড়িতে।
অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকেই শম্পাকে মারধর শুরু করে মৃন্ময়। শাশুড়ি ঠেকাতে এলে তাঁকেও সার্ভিস রুল দিয়ে বেধড়ক মারধোর করে মৃন্ময়। এই আঘাতে হাত ভেঙে যায় শাশুড়ির। মাথা ফেটে যায় শম্পার। এরপর তারা বাড়ির দরজা আটকে দিয়ে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন।
প্রতিবেশীরাই এরপর পুলিশকে খবর দিলে মিনাখাঁ থানার পুলিশ এসে মৃন্ময়কে গ্রেপ্তার করে। ধৃত পুলিশ কনস্টেবলকে শুক্রবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। স্থানীয়দের প্রশ্ন, একজন পুলিশ কর্মী যদি এই ধরনের আচরণ করেন, তাহলে সমাজ কোথায় যাচ্ছে ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন