Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩

টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ পর্যটকবাহী ডুবোজাহাজ

 ‌

The-missing-tourist-submarine

দেবাশীষ গোস্বামী : ‌অভিশপ্ত জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হলো একটি পর্যটকবাহী সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ। ১৯১২ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় তখনকার দিনের সবচেয়ে বড় এবং আধুনিক জাহাজ টাইটানিক। তাতে সলিল সমাধি হয় ওই জাহাজের কয়েক হাজার যাত্রীর। 

প্রায় ১১০ বছরের বেশি আগে এই দুর্ঘটনা ঘটলেও এই টাইটানিক জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায় ১৯৮৫ সালে অর্থাৎ দুর্ঘটনা ঘটার প্রায় ৭৫ বছর পর। আটলান্টিক মহাসাগরের প্রায় ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে যেখানে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পরে রয়েছে, সেই জায়গাটি এখন পর্যটকদের দর্শনস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রবিবার সকালে ওশনগেট নামক একটি পর্যটন সংস্থা তিনজন পর্যটক সহ মোট পাঁচজনকে নিয়ে একটি সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজকে আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে, সেটি দেখার জন্য সেখানে পাঠায়। 

ডুবো জাহাজটি কানাডার নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জোন্স থেকে রওনা হওয়ার ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট পর মূল সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকেই তার আর কোনও হদিস মিলছে না। ২৬ ফুট লম্বা এই ডুবোজাহাজটিতে পাঁচজনের বসার ব্যবস্থা আছে। 

এতে একজন পাইলট, একজন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের বিশেষজ্ঞ এবং তিনজন পর্যটক রয়েছেন। এই তিনজন পর্যটকের মধ্যে ব্রিটেনের ধনকুবের ৫৯ বছর বয়সী হারমিস হার্ডডিংসও আছেন। চিন্তার বিষয় এই যে, এই ডুবোজাহাজটিতে পাঁচ জন মানুষের চলার মতো মাত্র চারদিনের অক্সিজেন মজুদ করা আছে। 

সুতরাং, এই চারদিনের মধ্যে যদি এই ডুবোজাহাজটির হদিস না পাওয়া যায়, তাহলে ওই ডুবোজাহাজে থাকা পাঁচজনেরই জীবন সংসয় হতে পারে। জানা গেছে, কানাডা এবং আমেরিকায় উপকূলরক্ষী বাহিনী খুব চেষ্টা চালাচ্ছে এই জাহাজটি উদ্ধার করার জন্য। 

কিন্তু এখনো পর্যন্ত এর কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। ওশন গেট সংস্থার এই ডুবো জাহাজটির নাম টাইটান। এই OceanGate Expedition নামে সফরটিতে যাত্রী প্রতি প্রায় আড়াই লক্ষ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় দু কোটি টাকা খরচ হয়ে থাকে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন