সমকালীন প্রতিবেদন : রাজনৈতিকভাবে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জীর ঠাকুরবাড়িতে পুজো দেওয়াকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে এমনিতেই মতুয়া সমাজের উপর একটা প্রভাব পড়েছে। আর এবার ঠাকুরবাড়িতে আসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার বিকেলে তিনি ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। আর তারজন্য এদিন দুপুর থেকেই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার একাধিক বিজেপি নেতা, বিধায়ক ঠাকুরবাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন। বিকেল ৫ টা নাগাদ শুভেন্দু ঠাকুরবাড়িতে ঢুকবেন বলে জানা গেছে।
রবিবার দুপুরে ঠাকুরবাড়িতে পুজো দিয়ে সেদিনের নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করার কথা ছিল অভিষেক ব্যানার্জীর। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি ঘোরলো হয়ে যায়। অভিযোগ, শান্তনুর নির্দেশে ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দিরের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আর তাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় উত্তেজনা, হাতাহাতি। অবশেষে বিকল্প মন্দিরে পুজো দিতে হয় অভিষেককে। এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার রেশ গিয়ে পরে ঠাকুরনগরের চাঁদপাড়া গ্রামীন হাসপাতালে। সেখানেও দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই ঘটনায় বিজেপিপন্থী বেশ কয়েকজন মতুয়াভক্ত আহত হন।
মতুয়া ভক্তদের পাশাপাশি আহত হন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়াও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হেনস্থার শিকার হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতাহাতি হয়।
এতোরকম ঘটনার মধ্যে শান্তনু এবং মমতাবালা ঠাকুরের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাক্ যুদ্ধ। এমনই একটি পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরবাড়িতে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। ঠাকুরবাড়িতে এসে তিনি শান্তনু ঠাকুর সহ অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলবেন।
ঠাকুরবাড়ি ঘুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর বনগাঁয় আসার কথা রয়েছে। সেদিনের ঘটনায় আহত বনগাঁর বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়াকে দেখতে বনগাঁয় আসার কথা রয়েছে শুভেন্দুর। এই সফরে এসে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের সামনে কী ঘোষণা রাখেন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সব মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন