সমকালীন প্রতিবেদন : দলের নির্বাচিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল হিসেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামলে, দলের সেইসব কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই সতর্কবার্তা জারি করলেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস।
আর দিন কয়েক পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। স্ক্রুটিনির কাজ শেষ হয়ে এখন মনোনয়ন প্রত্যাহারের কাজ চলছে। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর ঠিক তার আগের দিন দলের পক্ষ থেকে এই সাংবাদিক বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের গ্রাম সভা, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনে নির্দিষ্ট আসন সংখ্যার বেশি তৃণমূলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। অর্থাৎ একটি আসনে একের বেশি একই দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। শুধু তৃণমূল নয়, বিরোধীদলের পক্ষেও এ ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে, যারা তৃণমূল দলের প্রতীক পাবেন না, তারা নির্দল হিসেবে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। এতে আখেরে বিরোধীদের লাভ হবে। আর এই ধরনের দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলেন জেলা সভাপতি।
এদিন জেলা সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, যারা দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নামবেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে দলের কথা ভেবে নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিন। দল আপনাদের যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে দলের কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখবে।
এই আবেদনের পরেও যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না, সেইসব নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়াইতে নামা দলের কর্মীদের চিরকালের জন্য দলে ফেরার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলের বনগাঁ সংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস।
দলের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে, অনেকেই ভুল পথে পরিচালিত হয়ে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে হয়তো মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজকের এই ঘোষণার পর দল আশা করছে তাদের অনেকেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। এখন দেখার দলের আবেদন কতজন বিক্ষুব্ধ কর্মী বাস্তবে মেনে নেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন