সমকালীন প্রতিবেদন : রাজভবন বনাম নবান্ন বা তৃণমূলের দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। শুক্রবার এবং শনিবার সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, সরজেমিনে দেখতেই তাঁর এই যাত্রা। কিন্তু তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে শাসক দলের।
এই বিষয়ে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক বক্তব্য রেখেছেন মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষ। যদিও ফিরহাদ হাকিম এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চান নি। এমন পরিস্থিতিতে এক অভিনব পদক্ষেপ করল রাজভবন। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্যের যেখানে গোলমাল বাধবে, সেখান থেকেই মানুষ রাজভবনে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে পারবেন।
শনিবার রাতে রাজভবন থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, ভোট সংক্রান্ত অশান্তি ঠেকাতে এবার রাজভবনে অভিযোগ করা যাবে। যে কারণে পিস রুম অর্থাৎ শান্তি কক্ষ খোলা হয়েছে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে শাসকদলের নেতৃত্ব। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য রাজ্যপাল বিজেপির সদস্য হয়ে গেছেন।
রাজ্যপাল দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যে সমস্ত অভিযোগ আসবে, তা দ্রুত রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন এব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে রাজভবনের তরফে।
শনিবার বিকেলে রাজ্যপাল গিয়েছিলেন ক্যানিং-এ। গত বুধবার সেখানে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রে ভয়ের কোনও জায়গায় নেই। তিনি হিংসা বরদাস্ত করবেন না বলেও জানান।
এরপর রাতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শান্তি কক্ষ খোলার কথা জানায় রাজভবন। সেখানে অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়। রাজভবনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হলে হেল্পলাইন নম্বরে জানানো যাবে। হেল্পলাইন নম্বর হল ০৩৩–২২০০১৬৪১, ইমেল- osd2.wb.governor@gmail.com. তবে শাসক তৃণমূলের তরফে রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে ভাল চোখে দেখা হচ্ছে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন