সমকালীন প্রতিবেদন : সাধারণত জোয়ার, বাজরা, রাগি- এই তিন দানাশস্যকে 'মিলেট' বলা হয়। মানুষের বিশেষ করে বাঙালির পাতে মিলেট চিরকালই ব্রাত্য। সেই খাদ্যশস্যকে মানুষের কাছে পরিচিত করার জন্যই এই অভিনব উদ্যোগ। এই খাদ্যশস্যের গুণাগুণ সাধারণ মানুষজনের কাছে তুলে ধরতে এই মিলেট মেলার আয়োজন করা হয়েছিল।
মিলেট প্রোটিন, ফাইবার এবং আ্যন্টি অক্সিডেন্টের ভান্ডার। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রুগীরাও এই মিলেটকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করলে ভালো ফল পান। তবে পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত মিলেট চাষ হয় না। এই মিলেটের বিভিন্ন গুণ সম্বন্ধে সচেতন করার পর পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের এই চাষ নিয়ে অবহিত করা হবে।
দক্ষীণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারের মশাটে একটি মেলায় এই মিলেট প্রদর্শন করা হয়েছে। যা দেখতে সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা ভিড় করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় ডায়মন্ডহারবার নেহেরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে এই মিলেট প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।
এই বিষয় নিয়ে ডায়মন্ডহারবার নেহেরু যুব কেন্দ্রের ডিওয়াইসি অশোক সাহা জানান, ২০২৩ সালকে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছে। তারই ফলশ্রুতি হিসাবে এই মিলেট নিয়ে লাগাতার প্রচার করা হচ্ছে। এই প্রচারে সাধরণ মানুষজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
ডায়মন্ডহারবারের মশাটে মিলেট মেলাতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রভাস মন্ডল। তিনি এই মিলেট চাষ করে উপকার পেয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। আগামীদিনে সমাজে মিলেটের ব্যবহার বাড়াতে তাঁরা বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন। মিলেট একটি আদর্শ খাদ্যশস্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন