সমকালীন প্রতিবেদন : ক্রেতা সেজে দুই পশু পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেললেন বনদপ্তরের কর্মীরা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হল দুটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী তক্ষক। একটি বাড়িতে এই তক্ষক দুটি রাখা ছিল। আর সেগুলি উদ্ধারের উদ্দেশ্যে এই অভিযান চালায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনদপ্তর।
বারাসত বনদপ্তরের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, দেগঙ্গা থানার অন্তর্গত হাদিপুর এলাকায় এক বাড়িতে খাঁচার মধ্যে করে দুটি তক্ষক রেখে দেওয়া হয়েছে। সেগুলি তারা বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে। তক্ষকগুলি কিভাবে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা যায়, তার পরিকল্পনা করে বনদপ্তর।
তারা যোগাযোগ করে ওয়াইল্ড লাইফ কন্ট্রোল ব্যুরোর সঙ্গে। ঠিক হয়, ক্রেতা সেজে ওই বাড়িতে হানা দেওয়া হবে। সেইমতো পাচারকারীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। মোটা দামে তক্ষকগুলি কিনতে চাওয়া হয়। এমন প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় পাচারকারীরা।
এরপর পরিকল্পনামতো হানা দেওয়া হয় বেড়াচাঁপার কিছুটা আগে হাদিপুর এলাকার ওই নির্দিষ্ট বাড়িতে। সেখানে খাঁচায় বন্দি তক্ষকদুটি সামনে আনতেই গ্রেপ্তার করা হয় দুই পশু পাচারকারীকে। ধৃতদের নাম আবু জাফর মন্ডল এবং শাহাজাহান হোসেন।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বনাধিকারিক এব্যাপারে জানান, এই তক্ষক আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো মূল্যে বিক্রি হয়। এগুলি অত্যন্ত বিরল প্রজাতির প্রাণী। এইধরণের প্রাণী ব্যক্তিগতভাবে রাখা কিম্বা বিক্রি করা আইনত অপরাধ। আর সেই কাজটিই ধৃতরা করেছে।
আটক তক্ষক সহ ধৃত পাচারকারীদের রাতের মতো বারাসতের রথতলা এলাকায় জেলা বনদপ্তরের কার্যালয়েই রাখা হয়। আজ তাদের বারাসত আদালতে তোলা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বণ্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন