সমকালীন প্রতিবেদন : দলের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শেষপর্যন্ত দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী হিসেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করছেন বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ করল দলীয় নেতৃত্ব। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার এমন ২০ জন নির্দল প্রার্থীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হল।
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব সূত্রে জানা গেছে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় দলীয় প্রতীকে লড়াই করছেন ১৪২৮ জন প্রার্থী। এরমধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ১২৭১ জন, পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ১৪৪ জন এবং জেলা পরিষদ স্তরে ১৩ জন রয়েছেন।
এর বাইরেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে আবেদনপত্র জমা করেছিলেন আরও বেশ কয়েকজন। পরে তারা দলীয় প্রতীক না পাওয়ায় তাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়ে যান।
দলের এই বিক্ষুব্ধ কর্মীদের উদ্দেশ্যে এরপর দলের জেলা নেতৃত্ব আবেদন করে যে, ৭২ ঘন্টার মধ্যে লিফলেট বিলি করে ভোটের লড়াই থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বের হতে হবে। দল তাদের যোগ্য সম্মান দিয়ে দলের কাজে ব্যবহার করবে বলে ঘোষনা করা হয়।
এরপর অনেক বিক্ষুব্ধই দলের এই নির্দেশ মানলেও শেষপর্যন্ত ২০ জন বিক্ষুব্ধ দলের সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভোটের লড়াই এ রয়ে গেছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে এই বিক্ষুব্ধ কর্মীদের শেষপর্যন্ত দল থেকে বহিষ্কার করা হল। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে দলের এই অবস্থানের কথা জানালেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস।
বহিষ্কৃত এই গোঁজ প্রার্থীদের মধ্যে কেউ যদি ভোটে জিতে যান, তাদেরকে কি আগামীদিনে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে এদিন জেলা সভাপতি বলেন, পুরসভা নির্বাচনের সময়েও এমন দু এক জন বিক্ষুব্ধ গোঁজ প্রার্থী জিতে গিয়েছিলেন। দল এখনও তাদেরকে ফিরিয়ে নেয় নি। এক্ষেত্রেও দলের অবস্থান একই থাকবে।
দলের কাছে খবর আসছে যে, গোঁজ প্রার্থীদের অনেকেই নিজেকে তৃণমূল সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রচার করে ভোট চাইছেন। এই ধরনের প্রচার করলে, সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও হুমকি দিয়েছেন জেলা সভাপতি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন