সমকালীন প্রতিবেদন : দিন কয়েক আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে আসার সময় ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গণে যে গোলমালের ঘটনা ঘটেছিল, তার সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা ঠাকুরবাড়ির সদস্য শান্তনু ঠাকুর।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সিট গঠন করে রাজ্য পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার ঠাকুরবাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, 'হাইকোর্টের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। তবে যে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের সিটের তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।'
এদিন তিনি আরও অভিযোগ করেন, 'প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর এবং বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের মৃত্যুর পেছনেও রহস্য রয়েছে। এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ঠাকুরবাড়ির দেবত্তর সম্পত্তির একটা অংশ কাদের নির্দেশে এবং স্বার্থে ঠাকুরবাড়ির একজন পদাধিকারি নিজের নামে লিখিয়ে নিলেন, তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।'
যদিও শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মমতাবালা ঠাকুর জানান, 'শান্তনু ঠাকুর মুখে অনেক কিছুর দাবি করে অনেকদিন ধরেই সিবিআই তদন্ত চাইছেন। মিডিয়ার কাছে তা না বলে কাজে করে দেখান। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে কাগজ কথা বলবে। অন্য কারোর কাছে আমার জবাবদিহি করার প্রয়োজন নেই।'
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই ঠাকুরনগর ঠাকুর পরিবার আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে গেছে। তার আঁচ এসে পড়েছে ভক্তদের মধ্যেও। ঠাকুরবাড়ির এই পারিবারিক বিবাদ এখন রাজনৈতিক আঙিনায় পৌঁছে গেছে। দিন এত এগোচ্ছে, ততই এই বিবাদ চরমে উঠছে। ফলে এই বিবাদ আগামী দিনে কোথায় গিয়ে পৌঁছায়, তা নিয়েই চিন্তিত সাধারণ মতুয়া ভক্তরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন