Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০২৩

‌প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে গাছ বিতরণে ব্রতী 'মিশন তপোবন'

Distribution-of-trees

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌কথায় আছে, 'একটি গাছ, একটি প্রাণ।' অর্থাৎ একটি গাছকে একটি প্রাণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। গাছ যে মানুষের কতটা উপকারী বন্ধু, করোনা অতিমারী পরিস্থিতির সময় তা হাড়ে হাড়ে‌ টের পেয়েছিল মনুষ্য সমাজ। তখন বেঁচে থাকার জন্য একটু অক্সিজেনের সিলিন্ডার জোগাড় করতে মানুষকে হিমশিম খেতে হয়।

কিন্তু কৃত্রিম উপায়ের পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে যথেষ্ট পরিমানে অক্সিজেন পাওয়া যেতে পারে এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করা যেতে পারে, তা শুধুমাত্র সম্ভব প্রকৃতির বুকে প্রচুর পরিমানে গাছ লাগিয়ে। তাই সরকারি, বেসরকারিভাবে সবসময় প্রচার করা হয়– 'গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান'‌। 

আর ঠিক এই জায়গা থেকেই নিজেদের সামাজিক কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসেবে মানুষের এই উপকারী বন্ধু গাছকে প্রকৃতির বুকে আরও বেশি করে স্থাপন করায় ব্রতী হয়েছে 'মিশন তপোবন'‌ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। 

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ডেওপুলের এই সংস্থা ২০০৭ সাল থেকে তাদের অন্যান্য সামাজিক কাজের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ এবং বৃক্ষ বিতরণের মতো কাজকে যথেষ্ট পরিমাণে গুরুত্ব দিয়েছে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয় নি।

২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস উপলক্ষে শতাধীক মিশন অনুরাগী প্রথমে সকাল ৭ টা থেকে ৭ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত যোগাসনের মাধ্যমে যোগ দিবস পালন করেন। এরপর গাইঘাটার জলেশ্বর এলাকায় বৃক্ষ পুজন, বৃক্ষ রোপন এবং বৃক্ষ দানের কর্মসূচি পালন করা হয়। 

ওই দিন ওই এলাকায় ৫০ টি বিভিন্ন ধরণের ভেষজ গাছ রোপণ করা হয়। এছাড়াও, ৪০০ টি বৃক্ষ সাধারণ মানুষের মধ্যে দান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মিশনের খুদে সদস্য থেকে প্রবীণ সদস্যরা। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এই বৃক্ষ রোপন এবং বৃক্ষ দান কর্মসূচি চলবে। 

মিশন তপোবনে অন্যতম কর্ণধার সুভাষ মোহান্ত জানান, এবছর ২ হাজার ভেষজ গাছ রোপণ এবং বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। এই গাছগুলির মধ্যে রয়েছে– আমলকি, হরিতকি, বহেরা, রুদ্রাক্ষ, পলাশ, বিদেশী নারকেল, অসমের সুপারি ইত্যাদি।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন