সমকালীন প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলায় রক্ত ঝরা অব্যাহত। মঙ্গলবার আরও এক সিপিএম কর্মীর মা সন্তানহারা হলেন। গত দিন কয়েক আগেই চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের তির ছিল শাসক দলের দিকে।
ওই মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। আরও বেশ কয়েকজন বাম-কংগ্রেসের নেতা-কর্মী আহত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। সেই তালিকাতে এই সিপিএম কর্মীও ছিলেন। ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই ব্যক্তির।
কিন্তু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠলে তাঁকে শিলিগুড়ির একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাতে সেখানেই ওই সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। গোলমালের এখানেই শেষ নয়। এর পাশাপাশি, মঙ্গলবার গভীর রাতে গুলি চলল মুর্শিদাবাদেও।
রানীনগর ১ নম্বর ব্লকের মোক্তারপুর এলাকায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় বলে খবর। যদিও ঘটনায় প্রাণে রক্ষা পেয়ে যান ব্লক সভাপতি নেতাজুল ইসলাম। একেবারে হাতের পাশ দিয়ে গুলি বেরিয়ে যায় বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মোক্তারপুর এলাকায় গরমে একটি চৌকির ওপর বসে আলোচনা করছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই সময় জঙ্গলের ভিতর থেকে নেতাজুল ইসলামকে লক্ষ করে দুষ্কৃতীরা গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে ইসলামপুর থানার পুলিশ পৌঁছয়।
ঘটনার পর থেকেই এলাকা পুরোপুরি থমথমে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, মনোনয়ন পর্বের পর থেকে উত্তপ্ত বাংলা। বোমা-গুলির শব্দে তটস্ত বহু এলাকা। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ভোট সন্ত্রাসে। এই অবস্থায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন