সমকালীন প্রতিবেদন : এক সময় রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছ থেকে মানুষ সুস্থ সংস্কৃতি শিখতেন। কিন্তু এখন তা অতীত। এখন বরং উল্টো শিক্ষাটাই হয়। সম্প্রতি চাঁচলের ১ নম্বর ব্লকের একাধিক রাজনৈতিক নেতা তাই শেখালেন। তৃণমূল থেকে সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতার প্রকাশ্য মঞ্চে নর্তকীর সঙ্গে চটুল নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হিন্দি গানের নর্তকীর সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নাচছেন তিনি। আবার কোনও ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে নাচতে নাচতে টাকা উড়াচ্ছেন তিনি। আবার সেই মঞ্চেই বসে গানের তালে তালে হাততালি দিচ্ছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য।
এমনকি এই ভিডিয়ো দলবদলু নেতা পোস্ট করেছেন নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকেই। এই ভিডিয়োগুলি সামনে আসতেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু কে কার কথা শোনে। এই সংস্কৃতিতেই যেন ওরা অভ্যস্ত।
এই ধরনের রুচির মানুষ তৃণমূলে থাকতে পারে না, তাই কংগ্রেসে গিয়েছে। দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। তৃণমূলের মুখে সংস্কৃতির কথা মানায় না। পালটা তোপ কংগ্রেসের। আর তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ বিজেপির। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাঁচল ১ নম্বর ব্লক কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আলি হোসেন। দুর্নীতি নিয়ে দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।
তারপরই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে আলি হোসেনের চটুল নাচের ভিডিয়ো। যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি অমিতেশ পান্ডে বলেন, 'আমাদের দল রুচিশীল সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তিদের দল। ওনার এই সমস্ত কাণ্ডকারখানার জন্য দল ওনার সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিল। তারপরই উনি কংগ্রেসে যোগ দিলেন।'
যদিও আলি হোসেনের সাফাই, ওই অনুষ্ঠান তাঁর ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এখন কংগ্রেসের যোগ দিয়েছি, তাই তৃণমূল এইসব সামনে এনে বদনাম করার চেষ্টা করছে।'
অন্যদিকে, ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কাজি আতাউর রহমান বলেন, এই ভিডিয়ো ওনার তৃণমূলে থাকাকালীন। এতদিন তৃণমূল এই নিয়ে কিছু বলেনি। এখন সেটাকে সামনে এনে রাজনীতি করছে। ঘটনা যেদিনেরই হোক আসল কথা সুষ্ঠু সংস্কৃতি! তা বোধহয় বিদায় নিয়েছে বাংলা থেকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন