সমকালীন প্রতিবেদন : চিরুনি শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে অবশেষে আলোচনায় বসতে রাজী হয়েছেন চিরুনি কারখানার মালিকেরা। সেইমর্মে তাঁরা আন্দোলনকারী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে চিঠিও দিয়েছেন। ফলে আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেন চিরুনি শ্রমিকেরা।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে নতুন করে জঙ্গি আন্দোলন শুরু করেন বনগাঁর চিরুনি শ্রমিকেরা। চিরুনি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরা সোমবার রাত থেকে আন্দোলনে নেমেছিলেন। মঙ্গলবারও সেই আন্দোলনের রেশ চলে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ থানার কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা, পেট্রাপোল থানার ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এবং বনগাঁ পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে চিরুনি শিল্পের কারখানা রয়েছে।
শ্রমিকদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে কোনওরকম মজুরী বৃদ্ধি হয়নি। ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দৈনিক মজুরিতে কাজ করছেন কয়েকশো শ্রমিক। বনগাঁ শহর, কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত- এই তিনটি এলাকায় প্রায় ১২৫ টি চিরুনির কারখানা রয়েছে।
এই কারখানাগুলিতে পুরুষ এবং মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০ শ্রমিক কাজ করেন। কারখানার মালিক রয়েছেন মোট ২৫ জন। শ্রমিকদের দাবি তুলেছেন, মজুরি বৃদ্ধি করে দৈনিক ৩৫০ টাকা করতে হবে।
বনগাঁ সেলুলয়েড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সম্পাদক রঞ্জন সেনের অভিযোগ, প্রতি দু বছর অন্তর শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করার কথা। মালিকপক্ষের সঙ্গে তেমনই চুক্তি রয়েছে। অথচ এবারে কোনরকম বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে উচ্চবাচ্য করছে না মালিকপক্ষ। যার ফলে শ্রমিকেরা আন্দোলনের নামতে বাধ্য হয়েছেন।
এই অবস্থায় নিজেদের দাবির সমর্থনে সোমবার রাত থেকে চিরুনি মালিক সংগঠনের সম্পাদক তমাল দত্তের বাড়ির সামনে তাঁর বাড়ির গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সেই আন্দোলন চলে।
শ্রমিকদের দাবি তোলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত মালিকপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বেতন বৃদ্ধি করবে, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে। অবশেষে এদিন দুপুরে মালিক পক্ষ থেকে শ্রমিকদের আলোচনায় বসার চিঠি পাঠানো হয়। আগামী রবিবার এই বৈঠক বসবে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শ্রমিকেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন