সমকালীন প্রতিবেদন : 'বনগাঁয় বোমা বিস্ফোরণে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় ধৃতদের একজনের সঙ্গে বনগাঁর এক তৃণমূল কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ফলে এই বিস্ফোরণের দায় তৃণমূলের।' এমনই মারাত্মক অভিযোগ করলেন বনগাঁর বিজেপি কাউন্সিলর তথা বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে বনগাঁর বক্সীপল্লী এলাকায় একটি শৌচাগারে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজু রায় নামে ১২ বছরের এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ বাপ্পা বিশ্বাস এবং অসিত অধিকারী নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই দেবদাস মন্ডল কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে দাবি করেন, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজু রায় নামে এক কিশোরের মৃত্যুর পর ওই কিশোরের বাড়ির পাশের একটি মাঠে বনগাঁ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপাই রাহার সঙ্গে বোমা বিস্ফোরণ কান্ডে ধৃত অসিত অধিকারীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।
সেই ছবি দেখিয়ে দেবদাস মন্ডল অভিযোগ করেন, ধৃত অসিত অধিকারীর সঙ্গে পাপাই রাহার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই বোমা বিস্ফোরণের পর বিষয়টি ম্যানেজ করার জন্য মৃত কিশোরের বাড়ির পাশের মাঠে অসিত অধিকারীর সঙ্গে পাপাই রাহাকে ঘোরাঘুরি করছিল।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কাউন্সিলর পাপাই রাহার পাল্টা অভিযোগ, 'দেবদাস মন্ডল বনগাঁয় একজন দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। ফলে তিনিই দুষ্কৃতীদের ভালো করে চেনেন। দল চালাতে গেলে তৃণমূলের কোনও দুষ্কৃতীদের প্রয়োজন হয় না।'
এদিকে, বোমা বিস্ফোরণে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার বনগাঁ থানায় স্মারকলিপি জমা দিল জেলা কংগ্রেসের মানবাধিকার বিভাগ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের মানবাধিকার বিভাগের পক্ষ থেকে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবিতে এই স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে কংগ্রেসের জেলা মানবাধিকার বিভাগের সভাপতি তুহিন চ্যাটার্জি বলেন 'গতকালের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় আরও যদি কেউ জড়িয়ে থাকে, পুলিশ তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করুক। পুলিশের কাছে আবেদন, এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো করা হোক।
এদিকে, বোমা বিস্ফোরণ কান্ডে ধৃতদের মঙ্গলবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক বাপ্পা বিশ্বাসকে ৭ দিনের জন্য জেল হেফাজত এবং অসিত অধিকারীকে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন