সমকালীন প্রতিবেদন : রবিবার গোটা দিন ধরে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি এবং ঠাকুরনগরের চাঁদপাড়া গ্রামীন হাসপাতালে গোলমালের ঘটনায় মোট ৫ টি মামলা দায়ের হয়েছে। প্রায় প্রতিটি মামলাতেই অভিযুক্ত রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন শান্তনু এবং সুব্রত ঠাকুরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।
এর পাশাপাশি, অভিযুক্তদের মধ্যে নাম রয়েছে বিজেপির গোবরডাঙা এলাকার মন্ডল সভাপতি আশিষ ব্যানার্জীরও। চাঁদপাড়া গ্রামীর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় পুলিশ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের নাম মিঠুন চৌধুরী, স্মরজিত চৌধুরী, গোপাল সমাজদার, বিধান সরকার, সুপ্রিয় বিশ্বাস, নিলিমেশ মজুমদার, তাপস মজুমদার এবং অরুন দাস।
ধৃতদের সোমবার বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৬ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত বিজেপি মন্ডল সভাপতি আশিষ ব্যানার্জী পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রবিবার ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীর পুজো দেওয়াকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড ঘটে। গোটা দিন ধরে তার রেশ থাকে। অভিষেক ব্যানার্জী এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর চাঁদপাড়া গ্রামীন হাসপাতালে সেই গোলমালের রেশ গিয়ে পড়ে।
আর এই গোটা ঘটনাতে মোট ৫ টি মামলা দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে একদিকে যেমন পুলিশের কাজে বাধাদান, পুলিশের উপর হামলার বিরুদ্ধে পুলিশের একটি সুয়োমোটো মামলা রয়েছে।
অন্যদিকে, চাঁদপাড়া গ্রামীন হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন গাইঘাটা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: সুজন গাইন। এছাড়াও, প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, গাইঘাটা অঞ্চলের মহিলা তৃণমূল কর্মীরা, বনগাঁ পুরসভার মহিলা তৃণমূল কর্মীরাও আলাদাভাবে মামলা দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, রবিবার ঠাকুরবাড়িতে যে ঘটনা ঘটেছে, তা কালো দিন হিসেবে লেখা থাকবে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে এর ফল ভোগ করতে হবে। জেলায় জেলায় মতুয়ারা বিক্ষোভ করবেন।
অন্যদিকে, রবিবারের গোটা ঘটনার দায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জী, রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্রাত্য বসু, সুজিত বসুদের উপর চাপিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এব্যাপারে সিবিআই তদন্ত চেয়ে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানান।
রবিবারের পর সোমবার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির পরিবেশ ছিল থমথমে। সাধারণ মানুষ, মতুয়া ভক্ত কাউকেই এদিন ঠাকুরবাড়ি এলাকায় সেভাবে দেখা যায় নি। মতুয়া ভক্তরা একটা চাপা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন