সমকালীন প্রতিবেদন : দেশ জুড়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনার মধ্যে আছে ২০০০ টাকার নোটবন্দির খবরও। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই এই নোট ব্যাঙ্কে জমা করানোর ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে৷ এই নোটগুলি জমা করার প্রক্রিয়াটি ২৩ মে শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম এবং পদ্ধতির কথাও জানিয়ে দিয়েছে৷
সূচনার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই ২০০০ টাকার নোটের ৮০ হাজার কোটি টাকার বিশাল পরিমাণ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমা হয়েছে। এই সংখ্যাটি পরবর্তী চার মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান দীনেশ খারা জানিয়েছেন, ২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকে তাঁদের ব্যাঙ্কেই প্রথম এক সপ্তাহে ১৪ হাজার কোটি টাকার নোট জমা পড়েছে। এছাড়াও, ৩০০০ কোটি টাকার নোট বিনিময় করা হয়েছে।
ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ২০০০ টাকার নোট জমা হয়েছে মোট ৩১০০ কোটি টাকা। এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তাঁদের প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকে সারা দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ২০০০ টাকার নোট জমা পড়েছে৷
নোট আদান-প্রদানের সময়সীমার এখনও চার মাস বাকি থাকায় ব্যাঙ্কাররা আশাবাদী যে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রচলিত ২০০০ টাকার নোটগুলি ব্যাঙ্কগুলিতে আরও প্রচুর পরিমাণে ফেরত আসবে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গ্রুপ চিফ ইকোনমিক অ্যাডভাইজার সৌম্যকান্তি ঘোষ অনুমান করছেন যে, প্রায় ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে ফেরত আসবে। ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্থ নোট বাদের খাতায় ধরলে, মোট পরিমাণ ৩ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
কেয়ার রেটিং এজেন্সির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার ফলে বাজারে ১-১.৮ লক্ষ কোটি টাকার চাহিদা তৈরি হবে। ব্যাঙ্কগুলিতে ২০০০ টাকার নোটের বাড়তে থাকা আমানত দেশের নগদ প্রবাহের গতিশীলতায় একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের চিহ্ন হিসেবে দেখা যাচ্ছে।
সময়সীমা এগিয়ে আসার সাথে সাথে ব্যাঙ্কগুলিতে ২০০০ টাকার নোটের পরিমাণ বাড়তেই থাকছে। তবে এই সময়তেই ৫০০ ও বাকি ছোট নোটের চাহিদা বাজারে বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যে গতিতে ব্যাংকে ২০০০ টাকার নোটের পরিমাণ বাড়ছে, এইভাবে চলতে থাকলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে প্রচলিত বেশিরভাগ নোটই ফেরত চলে আসবে। এমনকি এর মাধ্যমে জাল টাকা ও ব্ল্যাকমানি কারবারিদের ব্যবসাকেও বানচাল করা যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন