সমকালীন প্রতিবেদন : এ যেন শাহরুখ খানের ফেন্টাসি মূলক হাসির সিনেমা 'বাদশা'। অনেকটা সেই ধাঁচেই পর পর প্রতারণা করেন তিনজন ধনী ক্রেতাকে। তারপর এখন জেলে। আশ্চর্য গুণের কথা বলে চশমা বিক্রি করে গ্রেপ্তার হল ৪ ব্যক্তি।
চশমার দাম ১ কোটি টাকা রেখেছিল প্রতারণা চক্রটি। যাঁরা সেই ভুয়ো চশমা কিনেছেন, তাঁরা কীভাবে প্রতারকদের কথা বিশ্বাস করলেন তা ভেবে পাচ্ছে না পুলিশ। আসলে হারার জন্যই যারা মাঠে খেলতে নামে, তারা হারে।
'বাদশা' সিনেমায় চশমা পরলেই দেখা যাচ্ছিল সামনে দাঁড়ানো ব্যক্তির অনাবৃত দেহ। হিন্দি ছবির সেই কল্পনা ধার করে প্রতারণার অভিযোগ উঠল বেঙ্গালুরুতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শহরের বকে যাওয়া ধনী মানুষদের টার্গেট করতো ওই প্রতারক চক্র। বলা হতো এ এক আশ্চর্য আবিষ্কার। চশমা পড়লে শরীরের পোশাক আর দেখা যাবে না। ভিতরের নগ্ন দেহ উদ্ভাসিত হবে চোখের সামনে। ক্রেতারূপ ব্যবসায়ীদের গোপন আস্তানায় নিয়ে গিয়ে ট্রায়ালেরও ব্যবস্থা ছিল। এর জন্য কিছু মডেলকে ভাড়া করা হত।
তাঁরা নগ্ন অবস্থায় ‘পোজ’ দিত। সেই রূপ দেখানো হতো ব্যবসায়ীদের। কায়দা করে দেখানো ওই ঘটনায় মাথা গুলিয়ে যেত ব্যবসায়ীদের। এভাবে তিন জন ব্যবসায়ীর কাছে ১ কোটি মূল্যের ভুয়ো চশমা বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছিল বেঙ্গালুরুর এক বাসিন্দা।
তবে শেষ রক্ষা হয় নি। নজরে পড়ে যায় পুলিশের। মূল অভিযুক্ত-সহ প্রতারণা চক্রের চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হল, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা আর সুরাইয়া, তাঁর সঙ্গী গুবাবিব, জিতু জয়ন এবং এস ইরশাদ। সুরাইয়ার ৩ সঙ্গীই কেরলের বাসিন্দা। এখন অবশ্য আদালতের নির্দেশে তারা শ্রীঘরে বন্দি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন