সমকালীন প্রতিবেদন : প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্য। আর তার কারণেই আত্মহত্যা করলেন প্রেমিক। এমনই অভিযোগ যুবকের পরিবারের। বনগাঁ থানার প্রফুল্লনগর এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৮ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল বনগাঁর প্রফুল্লনগরের বছর ২১ বয়সের যুবক পার্থিব মিত্রের সঙ্গে বনগাঁর মতিগঞ্জ সাহাপাড়া এলাকার এক ছাত্রীর। পার্থিব বিএ প্রথমবর্ষের ছাত্র। পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি এই প্রেমের সম্পর্ক ছেদ করে ওই ছাত্রী।
এই ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন পার্থিব। তাঁর বাবা বলরাম মিত্র জানান, সোমবার রাতে পার্থিককে বেশ চঞ্চল লাগছিল। ফোনে কারোর সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা বলতে বলতে এদিক ওদিক চলাফেরা করছিল। পার্থিবকে দেখে তখনই খটকা লাগে তাঁর বাবার।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪ টে নাগাদ বাবা বলরাম যখন বাথরুমে যান, তখন তিনি দেখেন পার্থিবের ঘরের দরজা খোলা রয়েছে। এরপর তিনি ঘরের ভিতরে ঢুকতেই দেখেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে পার্থিবের দেহ ঝুলছে। এই দৃশ্য দেখে চিৎকার করে ওঠেন বলরামবাবু। ছুটে আসেন পরিবারের অন্যান্যরা।
মৃত যুবক পার্থিবের বন্ধুদের দাবি, প্রেমিকার কারণেই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে পার্থিব। আগের রাতে পার্থিব শেষ তার প্রেমিকার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিল। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথাও বলেছিল। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করে নি পার্থিবের প্রেমিকা।
পার্থিবের এই অকাল মৃত্যুর জন্য তাঁর প্রেমিকাকে দায়ী করে তার শাস্তির দাবি জানিয়ে এদিন বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বাবা বলরাম মিত্র। তাঁর এবং মৃত যুবকের বন্ধুদের দাবি, এই ঘটনার জন্য যে দায়ী, তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন