সমকালীন প্রতিবেদন : দীর্ঘদিন ধরে বেহাল গ্রামের রাস্তা। বহু আবেদন নিবেদন করেও ২০ বছর ধরে সংস্কার হচ্ছে না এই রাস্তা। এমনই অভিযোগ তুলে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজ্য সড়ক অবরোধে নামলেন গ্রামের পুরুষ থেকে মহিলা সকলেই। অবরোধের ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ থাকলো যান চলাচল।
বনগাঁ ব্লকের সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্ন্তগত আরামডাঙা গ্রামের মানুষেরা এদিন সকাল থেকে এই অবরোধে সামিল হন। রাস্তা নির্মানের দাবির সমর্থনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে আরামডাঙা গ্রাম সংলগ্ন এদিন বনগাঁ–বাগদা রাজ্য সড়ক অবরোধে নামেন গ্রামবাসীরা।
অবরোধকারীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবেশী গ্রামগুলির রাস্তা নির্মানের জন্য অর্থ অনুমোদিত হলেও এই গ্রামের রাস্তা নির্মানের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয় নি। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে বিডিও প্রত্যেকের কাছে আড়াই কিলোমিটার এই রাস্তা নির্মানের জন্য বারে বারে আবেদন করেও কোনও সুরাহা হয় নি বলে তাঁদের অভিযোগ।
অবরোধের ফলে এদিন এই রাজ্য সড়ক দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধকারীরা রাস্তার উপর বসে পড়েন। মোটর বাইকে প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে অবরোধ করে রাখা হয় রাস্তা। এমনকি রাস্তার উপর গ্যাস ওভেন বসিয়ে দেওয়া হয়। পায়ে হেঁটে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।
এদিন বাগদার বয়রা গ্রাম থেকে বনগাঁয় ডিউটিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন বনগাঁ ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত মহিলা পুলিশকর্মী চম্পা দাস। তিনিও আটকে পরেন এই অবরোধে। তাঁর অভিযোগ, পায়ে হেঁটে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। পুলিশকর্মী পরিচয় দেওয়ায় উল্টে তাঁকে তাড়া করে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয় বলে ওই পুলিশকর্মীর অভিযোগ।
অবরোধকারীরা দাবি তোলেন, রাস্তা নির্মানের বিষয়ে বিডিওকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাস্তা নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এদিন অবরোধ দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়। পরে বিডিওর প্রতিনিধি অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। বিডিওর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাস্তা নির্মানের বিষয়ে উর্দ্ধতম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন