সমকালীন প্রতিবেদন : জলাভূমি ভরাট করে নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ উঠলো এক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। আর তারই প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাদের এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়ালেন এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো বনগাঁ ব্লকের ট্যাংরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার ট্যাংরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ধোরামাড়ি নামে একটি বড় জলাশয় রয়েছে। বর্ষার সময় এই জলাশয় পরিপূর্ণ হয়ে থাকে জলে। আর সেখানে তখন মাঝ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন এলাকার মানু্ষ। প্রায় ৫০০ পরিবার এই মাছ ধরার কাজে যুক্ত রয়েছেন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সম্প্রতি এই জলাশয়টি বেআইনিভাবে ভরাটের কাজ চলছে। গ্রামের একটি পরিবার দাবি করেছে যে, তারা ওই অংশটি বৈধভাবে কিনে তা ভরাট করছে।
জলাশয় ভরাটের বিষয়টি গ্রামবাসীরা স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানালে পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে মাটি ফেলার কাজ বন্ধ হলেও মাটি তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয় নি।
গ্রামবাসীদের দাবি, ওই জলাশয়ে যে মাটি ফেলা হয়েছে, সেই মাটি জলাশয় থেকে অবিলম্বে তুলে জলাশয়টিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে, যাতে তারা আগের মতো মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।
নিজেদের দাবির সমর্থনে মঙ্গলবার বনগাঁ–ট্যাংরা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান এলাকার মৎস্যজীবীরা। মৎস্যজীবীদের এই আন্দোলনকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েন স্থানীয় ট্যাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেখারানী মল্লিক।
পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, জলাশয় ভরাটের বিষয়টি প্রথম জানার পর এই অবৈধ কাজ বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়। সেই অনুযায়ী মাটি ফেলার কাজও বন্ধ হয়ে যায়। এখন যে মাটি ফেলা হয়েছে, তা যাতে তুলে নেওয়া হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে।
যদিও আন্দোলনকারীদের এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্তর স্ত্রীর পাল্টা দাবি, তাদের কাছে জমির প্রয়োজনীয় নথিপত্র রয়েছে। ৪০ বছর ধরে ওই জমিতে তারা চাষ করে আসছেন।
ছেলেদের ঘরবাড়ি নেই বলে ঘরবাড়ি তৈরির জন্য ওই জমিতে মাটি ফেলা হয়েছে। এদিকে, বিরোধীরা দাবি করেছে, শাসক দলের মদত ছাড়া প্রকাশ্যে এইভাবে জলাভূমি ভরাট করা সম্ভব নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন