সমকালীন প্রতিবেদন : ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে মাত্র দুমাস আগে কলকাতার মৌসুমী দত্তর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বনগাঁর মৌমিতা মজুমদার ওরফে সোনুর। আর তারপর থেকেই হোয়াটস্ অ্যাপে নিয়মিত যোগাযোগ। আর এভাবেই তাঁদের মধ্যে একসময় প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বাড়তে থাকে সম্পর্কের গভীরতা।
কিন্তু সেই সম্পর্ক যে শেষপর্যন্ত বিয়েতে পরিনত হবে, তা অন্যদের কল্পনার বাইরে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, নিজেদের ভালোবাসাকে সঙ্গী করে, দেবতাকে সাক্ষী রেখে অবশেষে একে অপরকে বিয়ে করলেন। বাকি জীবনটা এভাবেই একসঙ্গে কাটাতে চান তাঁরা।
মৌসুমী এবং মৌমিতা এক সময় সিদ্ধান্ত নেন যে, সারা জীবন একসঙ্গে কাটানোর জন্য তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করবেন। পরিবারের কাছে সেকথা জানাতে স্বাভাবিকভাবেই দুই পরিবার এমন প্রস্তাব মেনে নিতে পারে নি। কিন্তু তাতে পরোয়া না করে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তাঁরা দুজন।
২১ মে, রবিবার বনগাঁ থেকে কলকাতায় মৌসুমীর কাছে ছুটে যান মৌমিতা। এরপর ঘনিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে গায়ে হলুদ লাগিয়ে, টোপর পরে, মালা বদল করে, পুরোহিতকে সামনে রেখে মন্ত্র উচ্চারণ করে মন্দিরে বিয়ে করলেন মৌমিতা এবং মৌসুমী।
দুই নারীর মধ্যে বিয়ের এমন ঘটনা ইতিমধ্যেই সোস্যাল মিডিয়ায় সাড়া ফেলেছে। পক্ষে–বিপক্ষে নানা মন্তব্য উঠে আসছে। তাতে অবশ্য কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই মৌসুমী এবং মৌমিতার। মৌসুমীর কথায়, এই সমাজ, পরিবার মেনে না নিলেও আমরা সারা জীবন একে অপরের ভালোবাসায় বেঁচে থাকবো। পুলিশ যদি কোনও সমস্যা সৃষ্টি করে, দুজনে মিলে তার মোকাবিলা করবো।
সমলিঙ্গের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সম্মতি দিলেও বিয়ের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায় নি। কিন্তু সেইসমস্ত নিয়মকানুনকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করে বাঁচতে চায় মৌসুমী এবং মৌমিতা। আর তাই তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। কলকাতা শহর এর আগে এমন ঘটনার সাক্ষী হলেও মফ:স্বলের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন