সমকালীন প্রতিবেদন : নামি কোম্পানীর লেভেল ব্যবহার করে দিব্বি চলছিল নকল পানীয় জলের কারবার। খবর পেয়ে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সেই বেআইনি পানীয় জলের কারখানায় হানা দিলেন ফুড সেফটি দপ্তরের আধিকারিকেরা। সিল করে দেওয়া হল ওই বেআইনি জলের কারখানা।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার ইটিন্ডা পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলবাড়ি এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে সরদার অ্যাকোয়া নাম দিয়ে একটি জলের কারখানা চলছিল। বিশেষ সূত্রে সেই খবর পৌঁছায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ফুড সেফটি দপ্তরে।
তাদের নির্দেশেই এরপর বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার ফুড সেফটি আধিকারিক অপরাজিতা মজুমদারের নেতৃত্বে বসিরহাট পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল আচমকাই হানা দেয় ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কলবাড়ি এলাকায়। সেখানে জলের নমুনা সংগ্রহ করে জলে টিডিএস কত শতাংশ আছে সেটাও পরীক্ষা করা হয়।
এই কারখানার জলে কোনও বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে কি না, সেটিও পরীক্ষা করলেন আধিকারিকেরা। জানা গেছে, এই কারখানায় নামি কোম্পানির লেভেল এবং বোতল ব্যবহার করে কারবারিরা ব্যবসা চালাচ্ছিল। যদিও তার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে নি কারবারিরা।
এব্যাপারে ফুড সেফটি আধিকারিক অপরাজিতা মজুমদার জানান, বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার বিভিন্ন অংশে এই ধরনের অবৈধ জলের কারখানার খবর আসছিল। সেই অনুযায়ী এদিন একটি কারখানায় অভিযান চালানো হয়। দেখা যায়, কোনওরকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এখানে প্যাকিং জলের কারবার চালানো হচ্ছে।
এদিন বসিরহাট জেলা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই অবৈধ জলের কারখানাটি সিল করে দেন ফুড সেফটি দপ্তরের অফিসারেরা। কারখানা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁরা মনে করছেন, এই পানীয় জল সাধারণ মানুষের খাওয়ার অযোগ্য। আর সেই কারনে তাঁরা এই কারখানাটি এদিন সিল করে দেওয়া হয়েছে। কারখানার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন