সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজের অসন্তোষের কথা তুলে ধরেছিলেন এবছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করা গাইঘাটার ইছাপুর হাইস্কুলের ছাত্রী প্রেরণা পাল। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোস্যাল মিডিয়ায় নানা প্রতিক্রিয়া, কটাক্ষ ছড়িয়ে পরছে।
বুধবার উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায়, মেধা তালিকায় চতুর্থস্থানে নাম রয়েছে ইছাপুর হাইস্কুলের ছাত্রী প্রেরণা পালের। সেদিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, সেইসময় প্রেরণা পাল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকেরা মানুষ গড়ার কারিগর। আর সেই শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যে যে দূর্নীতি সামনে আসছে, তা তাঁকে ব্যথিত করছে। মনে হচ্ছে, এই রাজ্যটা তাঁর নয়।
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সোস্যাল মিডিয়ায় বিরুদ্ধাচরন করে নানা মন্তব্য করা হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে শুক্রবার প্রেরণা নিজের জায়গায় স্থির থেকে জানান, 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। একজন সমাজ সচেতন মানুষ হিসেবে চোখের সামনে যা দেখতে পাচ্ছি, তার প্রেক্ষিতেই নিজের মত প্রকাশ করেছি। এতে যারা আমার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করছেন এবং যারা সমর্থন করছেন, প্রত্যেককেই স্বাগত।'
এদিকে, প্রেরণাকে শুভেচ্ছা জানাতে শুক্রবার তাঁদের গোবরডাঙার বাড়িতে আসেন সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, 'একসময় স্থানীয়দের কেউ কেউ রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছিলেন যে, ইছাপুর হাইস্কুলে পড়াশোনা হয় না। তাই নিয়ে শিক্ষা দপ্তর হইচই করেছিল। আর সেই স্কুল থেকেই প্রেরণা পাল উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থস্থান অধিকার করে শিক্ষা দপ্তরের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন