সমকালীন প্রতিবেদন : এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হল। ওই বধূকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওযা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে ভাঙচুর চালানো হল। মৃতদেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হল।
উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার বাদামতলা এলাকার ঘটনা। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাস ছয়েক আগে হিঙ্গলগঞ্জ থানার মামুদপুর গ্রামের বছর ২০ বয়সের কোয়েল বর্মনের সঙ্গে বিয়ে হয় হাসনাবাদ বাদামতলার বছর ২৩ বছরের যুবক রাহুল মন্ডলের।
রাহুল পেশায় একজন ভিডিও ফটোগ্রাফার। আর কোয়েল ছোটদের একটি বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন। বিয়ের পর থেকে রাহুল এবং কোয়েলের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে গোলমাল চলছিল। মাঝেমাঝে তা মারধরের পর্যায়েও চলে যেত।
এই বিষয়নিয়ে কোয়েল তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদের জানালে দুই পরিবারের মধ্যে বসে সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হয়। কিন্তু বিবাদ এখানেই মেটে নি। অভিযোগ, রাহুল কোয়েলের উপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালাতো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোয়েল স্কুল থেকে ফিরে নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলেন। স্বামী রাহুল এবং তার পরিবারের লোকেরা অনেক ডাকাডাকি করলেও কোয়েলের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া পান নি। এরপর ঘরের দরজা ভেঙে দেখা যায়, কোয়েলের মৃতদেহ পাখার সঙ্গে দড়ি বাঁধা অবস্থায় ঝুলছে।
বিষয়টি কোয়েলের পরিবারের লোকদেরকে জানানো হলে তারা রাহুলদের বাড়িতে হাজির হন। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, কোয়েলকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই শুরু হয় গোলমাল। দফায় দফায় ভাঙচুর, মারধর চলে। মৃতদেহ নিয়ে পার হাসনাবাদ ও লেবুখালী রোডের বাদামতলায় অবরোধ শুরু করেন মৃতের পরিবারের লোকজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন