সমকালীন প্রতিবেদন : বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে এবং অতিরিক্ত সময় ধরে রেলগেট নামিয়ে রাখার প্রতিবাদে অবরোধে নামলেন স্থানীয়রা। শুক্রবার সকালে এই অবরোধের ঘটনা ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের চাকদা–বনগাঁ রোডে। প্রায় এক ঘন্টা ধরে এই অবরোধ চলে।
সম্প্রসারণের পর থেকে বনগাঁ–চাকদা রোডের গুরুত্ব যথেষ্ট বেড়ে গেছে। পেট্রাপোলগামী বহু পণ্যবোঝাই ট্রাকই এখন যশোর রোডের বদলে বনগাঁ–চাকদা রোডকে ব্যবহার করছে। এর পাশাপাশি একাধিক বাসরুটের বেসরকারি বাস এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।
শুধু বাস–ট্রাকই নয়, এই রাস্তা দিয়ে প্রচুর পরিমানে অটো, টোটো চলাচল করে। এছাড়া সাইকেল, মোটরবাইক তো রয়েছেই। স্বাভাবিকভাবেই এই রাস্তার উপর ব্যাপক চাপ রয়েছে। এই রাস্তার উপরেই গোপালনগর এলাকায় রয়েছে বনগাঁ–রানাঘাট রেলপথ। আর এখানেই যত সমস্যা।
স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি বাস, অটো, টোটো চালকদের অভিযোগ, রেলগেটের দুপাশে বনগাঁ–চাকদা রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। সংস্কারের অভাবে অনেক জায়গায় গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পরেছে।
তাঁদের আরও অভিযোগ, ট্রেন আসার দু মিনিট আগে থেকে রেলগেট ফেলে রাখা হয়। ট্রেন চলে যাওয়ার পরেও অন্তত দু মিনিট ধরে রেলগেট ফেলে রেখে দেওয়া হয়। এর ফলে একদিকে যেমন যানজটের সৃষ্টি হয়, পাশাপাশি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাওয়া অসুস্থ রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পরেন। তারই প্রতিবাদে এদিন সকালে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা।
এদিন গোপালনগর রেলগেটের এই অবরোধে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাস, অটো, টোটো কর্মীরাও সামিল হন। রেললাইনের উপর টোটো দাঁড় করিয়ে অবরোধ করে রাখা হয়। এই অবরোধের ফলে বনগাঁ–চাকদা রোডের উপর বাস, ট্রাক সহ সমস্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পরে বনগাঁ–রানাঘাট শাখার ট্রেনও।
এদিন সকাল ১০ টা থেকে এই অবরোধ শুরু হয়। অবরোধকারীদের অভিযোগ, এই সমস্যার বিষয়ে রেলের কাছে একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা হয় নি। ফলে তাঁরা এদিন অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গোপালনগর থানার পুলিশ। অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে সকাল ১১ টা নাগাদ অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন