সমকালীন প্রতিবেদন : বেশ কয়েকটি কর্মসূচির সূচনা করতে মঙ্গলবার পেট্রাপোল সীমান্তে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর এই কর্মসূচিকে ঘিরে তৎপরতা শুরু হয়েছে সীমান্তে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কর্মসূচি নিশ্চিদ্র করতে সোম এবং মঙ্গলবার এই সীমান্ত দিয়ে আমদানি–রপ্তানী বানিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার কারণে এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আমদানি–রপ্তানী বানিজ্যের পরিমান কম হচ্ছে। আর সেই কারণেই পেট্রাপোল স্থলবন্দর এলাকায় পন্যবোঝাই এবং পন্য খালাস করে আসা ট্রাক যাতে আলাদা পথে যাতায়াত করতে পারে, তারজন্য দ্বিতীয় কার্গো গেট তৈরি করা হবে। মঙ্গলবার তারই শিলান্যাস করবেন অমিত শাহ।
এর পাশাপাশি, বেশ কয়েক বছর আগে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এলাকার ভেতরেই একটি ভবনে চালু হওয়া পেট্রাপোল থানার কর্মকান্ড চলছে। এর ফলে অনেকক্ষেত্রে এই থানা এলাকার মানুষ থানায় বিশেষ করে রাতে প্রয়োজন মেটাতে গেলে বিএসএফের বাধার সম্মুখিন হচ্ছিলেন।
এই সমস্যার সমাধান করতে ইমিগ্রেশন এলাকার বাইরে থানার নিজস্ব ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থানুকুল্যে যশোর রোডের ধারে নতুন করে তৈরি হয়েছে পেট্রাপোল থানার ভবন। অত্যাধুনিক সাজে সজ্জিত এই থানা ভবনেরও এদিন উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আমদানি–রপ্তানী বানিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, নতুন কার্গো গেট চালু হলে একদিকে যেমন বানিজ্যের পরিমান বাড়বে, তেমনই আধুনিকতার ছোঁয়ায় কর্মহীন হয়ে পরতে পারেন অনেক শ্রমিক।
তাই তাদের দাবি, এই স্থলবন্দরের উপর নির্ভরশীল কোনও মানুষের যেন কাজ চলে না যায়। পাশাপাশি, এই বন্দরে দক্ষ আধিকারিক নিয়োগেরও দাবি জানানো হয়েছে।
পেট্রাপোল স্থল বন্দর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় হেলিকপ্টারে কালিয়ানি বিএসএফ ক্যাম্পে নেমে সড়ক পথে পেট্রাপোলে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে প্রথমে পেট্রাপোল থানার নতুন ভবনের উদ্বোধন করবেন তিনি।
এরপর ছোট্ট পরিসরে পেট্রাপোল বন্দর পরিদর্শন করে দ্বিতীয় কার্গো গেটের ভূমিপুজো করবেন। তারপর মঞ্চের অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের আহার সেরে ২ টো ৫ মিনিটে হেলিপ্যাডের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন