সমকালীন প্রতিবেদন : এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হল। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী পলাতক। অন্যদিকে, এই ঘটনায় ওই নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পরায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বনগাঁ থানার খরুয়া রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা স্বামীর মৃত্যুর পর সংসার চালাতে কাজের সূত্রে বেশিরভাগ সময় কলকাতায় থাকেন। বাপেরবাড়িতে দুই নাবালক এবং নাবালিকা ছেলেমেয়েকে রেখেই তাকে কাজে যেতে হয়।
ওই মহিলার অভিযোগ, মৃন্ময় শিকদার নামে এক প্রতিবেশী যুবক তার মেয়েকে মাঝেমধ্যেই বিরক্ত করে। নাবালিকা ওই ব্যক্তিকে মেসো বলে ডাকে। কিন্তু সেই ব্যক্তিই প্রায়ই মেয়েকে গোলাপ ফুল দিয়ে ভালোবাসার কথা বলে।
বিবাহিত ওই ব্যক্তির এইরকম আচরণ পছন্দ করতো না ওই নাবালিকা। এব্যাপারে সে আপত্তি জানালেও বিরক্ত করা বন্ধ হয় নি। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, শুক্রবার প্রতিবেশী আর এক নাবালিকাকে দিয়ে মেয়েকে ডাকিয়ে নিয়ে মৃন্ময় নামে ওই ব্যক্তি তার মেয়েকে জোর করে একটি পাটখেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ঘটনার দিন নাবালিকার মা বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে দিদার কাছে ফিরে ভয়ে নাবালিকা কিছু জানায়নি। মাকে ফোন করে বলে তার পেটে ব্যথা হচ্ছে, দ্রুত বাড়ি ফিরে আসতে। শনিবার কাজের জায়গা থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ওই মহিলা। এরপর মেয়ের সঙ্গে কথা বলতেই মাকে সমস্ত ঘটনা জানায় ওই নাবালিকা।
সমস্ত ঘটনা শুনে ওইদিনই বনগাঁ থানায় মৃন্ময় শিকদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত মৃন্ময়। ঘটনার পর নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পরায় তাকে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাবালিকার মা দাবি করেছেন, অভিযুক্তর যেন চরম সাজা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন