সমকালীন প্রতিবেদন : খালি ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে ফিরছিলেন বনগাঁর এক ট্রাকচালক। আর সেই ট্রাক থেকেই মিললো বিপুল পরিমান সোনার বিস্কুট। গ্রেপ্তার করা হল ট্রাকচালককে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সোনার বিস্কুটগুলি। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় একের পর এক সোনা পাচারের চেষ্টা এভাবেই ব্যর্থ হচ্ছে।
সীমান্ত এলাকায় প্রায় দিনই উদ্ধার হচ্ছে বিপুল পরিমান সোনার বিস্কুট। নানা উপায়ে বাংলাদেশ থেকে এই সোনার বিস্কুটগুলি ভারতে পাচারের চেষ্টা হচ্ছে। সূত্র মারফত বিএসএফ সেগুলির মধ্যে একটা বড় অংশ উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে। যেমন উদ্ধার হল বৃহস্পতিবার।
পেট্রাপোল সীমান্তে কর্তব্যরত সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ১৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ সূত্রে খবর আসে যে, বাংলাদেশ থেকে পণ্য খালি করে ভারতের উদ্দেশ্যে ফিরে আসা একটি ট্রাকে করে প্রচুর পরিমানে সোনার বিস্কুট পাচার করা হচ্ছে। সেখানে নির্দিষ্ট করে ট্রাকের নম্বরও জানিয়ে দেওয়া হয়।
সেই খবরের ভিত্তিতে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ দল গঠন করে। এরপর ১০ টা ৫০ মিনিট নাগাদ ট্রাকটি ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করতেই ওই নির্দিষ্ট ট্রাকটিকে আটক করেন বিএসএফ জওয়ানেরা। তারপর ট্রাকের ভেতরে শুরু হয় তল্লাসী অভিযান।
আর এই তল্লাসীতেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমান সোনার বিস্কুট। ট্রাকের কেবিনে স্পিকার বক্সের পেছনে একটি কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় ৩৬ টি সোনার বিস্কুট রাখা ছিল। নির্দিষ্ট খবর ছাড়া সাধারণভাবে সেখান থেকে এই বিস্কুটের সন্ধান পাওয়া সম্ভব ছিল না বিএসএফ জওয়ানদের।
এরপর ট্রাক সহ ট্রাকচালককে বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাকচালক জানায়, তার নাম প্রদীপ রায়চৌধুরী। বাড়ি বনগাঁর মতিগঞ্জ টালিখোলা এলাকায়। সে পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিল।
পণ্য খালাস করে ভারতে ফেরার সময় এক বাংলাদেশি সোনা পাচারকারী এই সোনার বিস্কুটগুলি তাকে দিয়েছিল। ভারতে একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে এগুলি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তার।
এই কাজের জন্য তাকে বেশ কয়েক হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। বিএসএফ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলির মোট ওজন প্রায় ৪,৭৯৮ গ্রাম। দাম প্রায় ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ১১ হাজার টাকা। পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ করতে বিস্কুট সহ ট্রাকচালককে শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন