সমকালীন প্রতিবেদন : ৬ মাস ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে নিজের বাড়িতে ফিরলো ঝাড়খন্ড জেলার যুবক। হ্যাম রেডিও এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ওই যুবককে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি বাবা।
জানা গেছে, ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা বছর ১৯ বয়সের বাসুদেব দাস মানসিক ভারসাম্যহীন। মাস ছয়েক আগে হঠাৎ করেই সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়।
সেই সময় নিজেদের এলাকা ছাড়াও আত্মীয়–পরিজনদের বাড়িতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মেলে নি। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়।
এদিকে, দিন ১৫ আগে উত্তর ২৪ পরগনার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ বাজার এলাকায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে ঘুড়তে দেখেন এলাকার বাসিন্দা, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী সুশান্ত ঘোষ। যুবকটি কখনও কারোর বাড়ির বারান্দায় আবার কখনও কোনও বন্ধ দোকানের সামনে আশ্রয় নিয়ে ছিল।
সুশান্তবাবু যুবকের সঙ্গে কথা বলে তার নাম, ঠিকানা জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওই যুবক তার পরিচয় জানাতে পারছিল না। এরপর তিনি হ্যাম রেডিওর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। হ্যাম রেডিও তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ওই যুবক ঝাড়খন্ডের বাসিন্দা।
হ্যাম রেডিও এবং স্থানীয় থানার পুলিশের মারফত নিখোঁজ যুবকের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। এরপর ওই যুবকের বাবা সহ পরিবারের ৩ সদস্য হিঙ্গলগঞ্জে এসে উপস্থিত হন। সোমবার নিখোঁজ যুবক সোমনাথ দাসকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পরিবারের হারানো সদস্যকে ফিরে পেয়ে খুশি সোমনাথের পরিবার। যাদের মাধ্যমে তারা পরিবারের নিখোঁজ সদস্যকে ফিরে পেলেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সোমনাথকে তারা যে আর কোনওদিন ফিরে পাবেন, তা ভাবতেও পারেন নি।
এদিনই সোমনাথকে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন হিঙ্গলগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক সৈকত ঘোষ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান সুশান্ত ঘোষ সহ সংস্থার সদস্যরা। এদিন সোমনাথকে নতুন পোষাক পরিয়ে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিনই তারা ঝাড়খন্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন