সমকালীন প্রতিবেদন : কালবৈশাখী ঝড় বা বৃষ্টি নয়। শুকনো, রোদ ঝলমলে দিনে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো বিশালাকার প্রাচীন গাছের একটি মোটা ডাল। আর সেই ডালের আঘাতে দুমড়ে মুচড়ে গেল একটি গোটা টিনের বাড়ি। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচলেন ঘরের ভেতরে থাকা এক অন্ত:সত্ত্বা গৃহবধূ।
বুধবার দুপুর ১ টা নাগাদ এই বিপর্যয় ঘটলো বনগাঁ থানার কালুপুর এলাকায় যশোর রোডের ধারে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের ভেতরে থাকা সমস্ত ব্যবহার্য জিনিসপত্র ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। এদিনের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ফের একবার যশোর রোডের দুধারের পুরনো বিপজ্জনক গাছ এবং গাছের ডাল কাটার দাবি উঠলো।
কালুপুর বাজার এলাকায় যশোর রোডের ধারে ছোট্ট একটি টিনের বাড়িতে স্ত্রী, দুই ছেলে, বৌমাকে নিয়ে বসবাস করেন ভ্যানচালক নারায়ণ সরকার। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও তিনি ভ্যানরিক্সা নিয়ে কাজে বেড়িয়ে যান। স্ত্রী এবং দুই ছেলেও কাজে বেড়িয়ে যান। ঘরের ভেতরে তখন অন্ত:সত্ত্বা বৌমা প্রিয়াঙ্কা সরকার একাই ছিলেন।
দুপুর নাগাদ হঠাৎ করেই গাছের ডাল ভেঙে পরার শব্দ শুনে বিপদ আঁচ করতে পেরে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন প্রিয়াঙ্কা। আর তার পরপরই শিশুগাছের একটি বিশালাকার ডাল ভেঙে তাঁদের ঘরের উপর পরে। সঙ্গে সঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে যায় গোটা টিনের বাড়িটি।
ঘরের ভেতরে থাকা খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, টিভি, রান্নাঘরের সরঞ্জাম সহ প্রায় সমস্তকিছুই ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন এলাকার মানুষ। অন্ত:সত্ত্বা বধূ প্রিয়াঙ্কাকে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। খবর দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের।
গাছের ডাল ভেঙে পরার ঘটনায় ফের আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একের পর এক ডাল ভেঙে পরার ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত। যশোর রোডের ধারে থাকা বাসিন্দারা সমসময় ভয়ে ভয়ে থাকেন। তাঁরা গাছের ডাল কেটে ফেলার দাবি তুলেছেন।
উল্লেখ্য, যশোর রোডের প্রাচীন গাছগুলির মধ্যে অনেকগুলির অবস্থাই বিপজ্জনক। ইতিমধ্যেই গাছ এবং গাছের ডাল ভেঙে একাধিক মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে গাছের বিপজ্জনক ডালগুলি কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যেই ডাল ভেঙে বিপত্তি ঘটার ঘটনাও ঘটছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন