সমকালীন প্রতিবেদন : ঘরের ভেতর থেকে গলায় পাঁস লাগানো অবস্থায় এক বধূর মৃতদেহ উদ্ধার হল। বধূকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বাপেরবাড়ির লোকেরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বনগাঁ থানার কলমবাগান এলাকায়।
জানা গেছে, মৃত বধূর নাম শান্তনা প্রামানিক। তাঁর বাপের বাড়ি বাগদার হেলেঞ্চা এলাকায়। বেশ কয়েক বছর আগে বাগদার দত্তপুলিয়া এলাকার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বর্তমানে তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে।
শান্তনার স্বামী কর্মসূত্রে ভিনদেশে থাকেন। শ্বশুরবাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন শান্তনা। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে সাংসারিক সমস্যা তৈরি হওয়ায় মেয়েকে নিয়ে বনগাঁ থানার কলমবাগান এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন শান্তনা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মেয়েকে ফোনে না পেয়ে সন্ধের সময় শান্তনার মা শান্তনার মেয়েকে নিয়ে কলমবাগানের বাড়িতে গিয়ে দেখেন, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় খাটের উপরে পড়ে রয়েছে শান্তনা। খবর দেওয়া হয় বনগাঁ থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
শান্তনার বাবা লক্ষণ শীল জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকে বাগদার বাসিন্দা অনন্ত সাহার নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল শান্তনা। সম্প্রতি শান্তনা সেই সম্পর্ক থেকে বেড়িয়ে আসতে চাইছিল। আর সেই কারণেই শান্তনাকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেছে অনন্ত।
এমনই সন্দেহ করে অনন্তর বিরুদ্ধে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে শান্তনার বাপেরবাড়ির লোকেরা। অনন্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। শান্তনার ঘর থেকে মোবাইল, সোনার গয়না, নগদ টাকা উধাও হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন শান্তনার বাপেরবাড়ির লোকেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন