সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের পর এবার এই জেলারই হাবড়া থানার বাণীপুর ইতিনা কলোনি এলাকায় গড়ে উঠলো মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের আর এক পূর্ণভূমি। সেখানেও তৈরি হয়েছে কামনা সাগর। আর সেই কামনা সাগরে স্নান সারলেন হাজার হাজার মতুয়া ভক্ত।
দিন কয়েক আগেই শেষ হয়েছে ঠাকুরনগরের মতুয়া মেলা। মতুয়া ধর্মের প্রবক্তা হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষে ঠাকুরনগরে প্রতি বছর মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। আর এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ হল ঠাকুরনগরের কামনা সাগর।
নামে কামনা সাগর হলেও এটা কোনও সাগর নয়। বরং একটি পুকুর। আর সেই পুকুরে ভক্তিভরে স্নান করে মনস্কামনা জানালে অচিরেই তা পূর্ণ হয় বলে বিশ্বাস মতুয়া ভক্তদের। আর তাই এর নাম কামনা সাগর। নিজেদের মনস্কামনা পূরণ করতে তাই দূর দূরান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরা প্রতি বছর উপস্থিত হন উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে।
আর ঠাকুরনগরের মতোই আরও এক মতুয়াপীঠ হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রসিদ্ধি লাভ করেছে হাবড়া। হাবড়া পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাণীপুরের ইতিনা কলোনী শ্মশানঘাট এলাকায় রয়েছে এমনই একটি কামনা সাগর। গত বছর থেকেই এখানে মতুয়াদের সমাগম শুরু হয়েছে।
এখানে রয়েছে মতুয়াদের একটি মন্দির। সেই মন্দিরের পুজো দিতে এসে স্নান করে নিজেদের কামনা-বাসনার কথা তাঁদের আরাধ্য দেবতার কাছে জানান ভক্তরা। আর সেই বাসনা অচিরেই পূর্ণ হয় বলে বিশ্বাস তাদের। সেই বিশ্বাসে ভর করেই এখানে সমাগম ঘটছে মতুয়া ভক্তদের।
এব্যাপারে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অবন্তী দাস জানিয়েছেন, গত বছর থেকেই বহু ভক্তের সমাবেশ ঘটছে এই কামনা সাগরে। মনের বিশ্বাস নিয়ে এবছরও এখানে এসেছেন ভক্তরা। স্নান সেরে মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা মন্দির চত্ত্বর।
সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হচ্ছে। ডঙ্কা বাজিয়ে, হরিবল ধ্বনি তুলে বহু ভক্ত এসে উপস্থিত হয়েছেন হাবরার বাণীপুরের এই এলাকায়। উৎসবের চেহারা নিয়েছে ইতিনা কলোনি এলাকা। আগত ভক্তদের জন্য খিঁচুড়ি প্রসাদেরও আয়োজন করা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন