সমকালীন প্রতিবেদন : চড়ক মেলায় বিশেষ কালীপুজোর আয়োজন। তাও আবার ১৩১ টি কালীমূর্তি সহযোগে। বহু বছর ধরে এমন অদ্ভুত কালীপুজোর আয়োজন হয়ে আসছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে। এখানকার খেজুরবেড়িয়া গ্রামে গৌড়েশ্বর নদীর তীরে এবছরও এই পুজোর আয়োজন হয়েছে।
প্রতি বছর নীল পুজোর দিন এই হাজারী কালী পুজোর আয়োজন হয়। এবছর এই পুজো ১১৮তম বর্ষে পা দিল। চড়ক মেলার পাশাপাশি এই ভিন্ন ধরনের পুজোতে বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ পুজো দিতে হাজির হন। হিন্দু–মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন।
এই কালী পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, ১৩১ টি কালী প্রতিমাকে এখানে এনে একসঙ্গে পুজো করা হয়। ভূদেব চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, অভিজিৎ চক্রবর্তীর মতো ১০ জন পুরোহিত বংশ পরম্পরায় এই পুজো করে আসছেন। উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া এলাকা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা থেকেও বহু ভক্ত এই পুজোয় অংশ নেন।
এদিন এই পুজোয় হাজির হয়েছিলেন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রাধেশ মণ্ডল সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। বিধায়ক বলেন, এই পুজোতে অনেক মানুষের মনবাসনা পূরণ, রোগব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ হয় বলে ভক্তদের দাবি। আর সেই কারণে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় এখানে।
সুন্দরবন লাগোয়া এলাকার ঐতিহ্যবাহী এই চড়ক মেলা এবং তার সঙ্গে বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত কালীপুজোকে ঘিরে হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়। এখনও এখানে পাঠা বলির রেওয়াজ আছে। পুজোকে ঘিরে সর্বধর্মের মেলবন্ধন তৈরি হয় এই অঞ্চলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন