সমকালীন প্রতিবেদন : নানা কারণে প্লেনের গোলযোগের কথা আমরা জানি। কিন্তু প্লেনের ভেতরে জীবন্ত বিষাক্ত 'সাপ'- এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেছে বলে মনে হয় না। উড়ানের নানা বিপর্যয়ের কারণে উড়ানকে দ্রুত অবতরণ করতে হয়। কিন্তু একটা সাপের কারণে প্লেনকে ল্যান্ড করাতে হলো। তাই বলে মাঝ আকাশে বিমানের ভিতরে বিষধর সাপের হদিশ মিলবে?
অবিশ্বাস্য হলেও সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বিমানে তাই ঘটেছে। আচমকা ককপিটে একটি বিষধর গোখরো সাপকে আবিষ্কার করেন পাইলট। পাইলটের বিচক্ষণতায় সমস্যা বেশি দূর গড়ায় নি। শুরুতে আতঙ্কিত হলেও শেষ পর্যন্ত ঠান্ডা মাথায় বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করান পাইলট।
ঘটনা জানাজানি হতেই বিমান চালকের সাহস এবং ধৈর্যের প্রশংসা করছেন সকলে। চার আসনের ছোট বিমান নিয়ে ওরসেস্টার থেকে নেলসপ্রুটের উদ্দেশে রওনা দেন বিমানচালক রুডলফ এরাসমাস। উড়ানের কিছুক্ষণ পরেই চার যাত্রী জানান, বিমানে তাঁরা একটি গোখরো সাপকে দেখেছেন।
বিষধরের উপস্থিতির এমন খবরে স্বভাবতই আতঙ্কিত হন তাঁরা। হইচই শুরু করেন। পরে সাপটি বিমানের ইজ্ঞিনের দিকে গায়েব হলে নিশ্চিন্ত হন। সকলেই ভেবেছিলেন, সেটি বাইরে বেরিয়ে গেছে বুঝি। কিন্তু আসলে সাপ বিমান থেকে বাইরে যাবে কি করে?
এই বিষয়টা সহজেই বুঝতে পারে বিচক্ষণ পাইলট। এই অবস্থায় পাইলট শুধু মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের কাজ করে যান। বিমানচালক রুডলফ জানান, বিমান চালাতে চালাতে হঠাৎই পায়ে ঠান্ডা স্পর্শ পান তিনি। তাকিয়ে দেখেন, পায়ের কাছে মুখ বাড়িয়ে রয়েছে একটি গোখরো সাপ।
আতঙ্কে চিৎকার করে উঠতে গেছিলেন, কিন্তু নিজেকে সামলে নেন। পাথরের মতো স্থির থেকে নিজের কর্তব্য পালন করেন। যাত্রীদের জানান, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কাছের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করবে বিমান।
সেই মতো জোহানেসবার্গ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিমানটিকে তড়িঘড়ি নামানো হয়। যাত্রীরা এবং পাইলট রুডলফ নিরাপদে বিমান ছাড়েন। পাইলটের তৎপরতায় জীবন বেঁচে যায় বিমানের ভেতরে থাকা যাত্রীদের। বিমান চালকের তৎপরতায় সকলেই খুশি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন