সমকালীন প্রতিবেদন : সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় বাংলাদেশে বসবাসকারী বোন তার ভাইয়ের শেষ দেখা দেখতে পেলেন। পরিবারের আবেদন মেনে সীমান্তে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ভাইয়ের মৃতদেহ। আর সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানালেন বোন এবং পরিজনেরা।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার সীমান্ত গ্রাম হরিহরপুরের পঞ্চায়েত সদস্য আমিনুদ্দিন দফাদার ৬৮ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি মধুপুরের কোম্পানি কমান্ডারকে জানান যে, তাদের গ্রামের সাবর খান মারা গেছেন।
তাঁর বোন সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশে বসবাস করেন। তিনি তার ভাইকে শেষবারের জন্য দেখতে চান। এমন মানবিক আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও বেশি মানবিক হয়ে পরে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। কোম্পানি কমান্ডার এরপর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এরপর উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতায় দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে সাবর খানের কফিনবন্দি দেহ আনা হয়। ভাইকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বাংলাদেশে বসবাসরত বোন এবং আত্মীয়-স্বজনেরা সেখানে হাজির হন।
আর এভাবেই বাংলাদেশে বসবাসরত বোন তার ভাইকে শেষবারের জন্য দেখা করার সুযোগ পেলেন। চোখের জলে বাইকে বিদায় জানালেন সীমান্তের অপর পাড়ে থাকা বোন। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় ভাইকে শেষবারের মতো দেখতে পাওয়ার সুযোগ মেলায় বিএসএফের প্রতি কৃতজ্ঞতাপ্রকাশ করেছে বাংলাদেসে থাকা বোনের পরিবার।
বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের এক মুখপাত্র বলেন, বিএসএফ জওয়ানেরা দিনরাত এক করে সীমান্তে মোতায়েন থাকেন। তাঁরা দেশের নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি সীমান্তবাসীদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধেরও যত্ন নেন। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী যেমন অসৎ উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে রয়েছে, পাশাপাশি মানবতা এবং মানবিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে তারা সর্বদা প্রস্তুত থাকেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন