সমকালীন প্রতিবেদন : পাচার প্রতিরোধ এবং পাচার হয়ে যাওয়ার পর উদ্ধার হয়ে ফিরে আসা ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন সহ তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে 'ট্রাফিকিং ইনপার্সন বিল'। কিন্তু সেই বিল লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় এখনও পাশ না হওয়ায়, তা কার্যকরী হচ্ছে না।
এই বিল পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে অবিলম্বে পাশ করিয়ে তা কার্যকরী করার দাবিতে সরব হয়েছেন একসময় পাচার হয়ে পরবর্তীতে ফিরে আসা মহিলারা। এব্যাপারে তাঁরা কেন্দ্রের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আবেদন জানিয়েছেন।
পাচার প্রতিরোধ এবং পাচার হয়ে গিয়ে পরে ফিরে আসা মহিলাদের কাউন্সেলিং করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে কাজ করছেন বনগাঁ সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক মহিলা।
এব্যাপারে বনগাঁ ব্লকে কাজ করছে চড়ুইগাছি লাইটহাউস সোসাইটি, বাগদা ব্লকে কাজ করছে মালিপোঁতা অ্যাসোসিয়েশন ফর ট্রান্সফর্মেশন অব এনভায়রনমেন্ট এবং গাইঘাটা ব্লকে কাজ করছে বারাসত উন্নয়ন প্রস্তুতি।
সম্প্রতি এই তিন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই তিন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একসময় পাচার হয়ে যাওয়া মহিলারা। আগামীদিন দিনে যাতে পাচার বন্ধ এবং পাচার হয়ে যাওয়ার পরেও ফিরে আসা মহিলারা যাতে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন, তারজন্য একগুচ্ছ দাবি তুলে ধরলেন।
পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হয়ে আসা মহিলারা প্রথমদিকে মানসিক সমস্যায় তাকেন। সেইসময় তাঁদেরকে মানসিকভাবে সুস্থ করে তোলার জন্য কাউন্সেলিং এর প্রয়োজন হয়।
তাই দাবি উঠেছে, এইধরনের মহিলাদের দক্ষ কাউন্সিলরের মাধ্যমে নিয়মিত কাউন্সেলিং এবং তাঁরা যাতে সরকারি ঘর, আর্থিক অনুদান পেতে পারেন, তার ব্যবস্থা করুক সরকার।
এর পাশাপাশি কমিউনিটি বেসড রিহ্যাবিলিটেশন খুব জরুরী। কারণ, হোমে থাকলে পরবর্তীতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। তাই এক্ষেত্রেও সরকারকে বিশেষ উদ্যোগগ্রহনের দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দারিদ্র এবং অসহায়তার সুযোগ নিয়ে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের নাবালিকা থেকে সাবালিকা– অনেককেই বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে।
এদের একটি অংশ অনেক সময়েই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে ফিরে আসতে পারছেন। তাঁদের অনেকেই এখন এই পাচারের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক সামাজিক কাজে নিয়োজিত হচ্ছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন