সমকালীন প্রতিবেদন : গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পরে রয়েছে। প্রশাসন বা পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছিল না। এই অবস্থায় গ্রামে 'দিদির দূত' পৌঁছাতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, রাস্তা তৈরি করা না হলে ভোট বয়কট করবেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের এই মিলিত প্রতিবাদ অবশেষে কাজে এলো। দিদির দূতের উদ্যোগে শেষপর্যন্ত রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নিল প্রশাসন। রাস্তা তৈরির সরঞ্জাম ইতিমধ্যেই চলে এসেছে। শুরু হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। আর এমন ঘটনায় খুশি এলাকার মানুষ।
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের ধর্মপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়ুইগাছি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি রাস্তা ভগ্নাদশায় পরে রয়েছে। বর্ষার সময় সেই রাস্তা দিয়ে গ্রামবাসীদের চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পরে। রাস্তা মেরামতির দাবি জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছিল না।
সম্প্রতি দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দিদির দূত হিসেবে ওই গ্রামে হাজির হন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে ছাড়েন নি গ্রামবাসীরা।
দিদির দূতের সামনেই গ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাস্তা তৈরির ব্যবস্থা না করলে তাঁরা আগামী পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করবেন। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে দিদির দূত বিশ্বজিৎ দাস কথা দেন, যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা তৈরির ব্যবস্থা করবেন তিনি। এরপরই রাস্তা তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
দিদির দূতের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবশেষে রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় খুশি গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা রাস্তা নিয়ে সমস্যার মধ্যে থাকায় আমাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। আর সেই কারণেই আমরা ভোট বয়কটের কথা বলেছিলাম। অবশেষে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুশি।
উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্য জুড়ে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি রূপায়নে গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে দিদির দূত হিসেবে পৌঁছে যাচ্ছেন তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতা, মন্ত্রীরা।
অনেক ক্ষেত্রে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ–বিক্ষোভের মুখে পরতে হচ্ছে প্রতিনিধিদের। তবে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার সমাধান হওয়ায় খুশি হচ্ছেন এলাকার মানুষ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন