Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩

মাদক পাচার রুখবে কাঠবেড়ালি

 

Squirrels-will-stop-smuggling

সম্পদ দে :‌ ‌বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীতে কালোবাজারের চোরাকারবারিদের কাছে মাদক পাচার একটি অত্যন্ত বড় ব্যবসা হিসেবে ফুলে ফেঁপে উঠছে। বিশেষত বিভিন্ন দেশের সীমান্ত অঞ্চলে এই মাদক পাচার দেখা যায় বিশেষভাবে। 

পৃথিবীর সমস্ত দেশেই এই মাদক পাচার রুখতে সেখানকার পুলিশ প্রশাসন এবং সরকার বিভিন্ন কড়া ব্যবস্থাপনা নিয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বিভিন্ন ব্রিডের কুকুরদের, যাতে তারা গন্ধ শুঁকেই খুঁজে বের করতে পারে লুকিয়ে রাখা মাদকের অবস্থান। 

তবে এবার সেই সীমান্ত অঞ্চলে মাদক পাচার রুখতেই বিশেষ কাঠবেড়ালি বাহিনী তৈরি করছে চীনের সরকার। শুনতে অবাক লাগলেও এটি একদম সঠিক তথ্য। চীনের চংকিং প্রদেশে এক বিশেষ প্রজাতির কাঠবিড়ালিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে সেখানকার পুলিশ বিভাগ। 

প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ সফল হলে খুব তাড়াতাড়ি এই বিশেষ কাঠবেড়ালি বাহিনীকে মাদক পাচার রুখতে ব্যবহার করতে শুরু করে দেবে চীনের পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই প্রায় ছয়টি কাঠবিড়ালি নিয়ে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। 

একবার প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে গেলে এই কাঠবেড়ালি দল বেশ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে বলেই প্রশিক্ষকদের আশা। চীনা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মাত্র কয়েক দিনের প্রশিক্ষণেই মাদক শুঁকে খুঁজে বার করতে পারছে এই বিশেষ প্রজাতির কাঠবিড়ালির দল। 

মূলত কুকুরদের জন্য নিযুক্ত প্রশিক্ষকেরাই এই কাঠবিড়ালি বাহিনীকে পরিচালনা করছেন। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ধরনের মাদক ব্যবহার করে কাঠবিড়ালিদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবারই বেশ সফলভাবেই মাদক খুঁজে বার করতে পারছে তারা। 

এই খবরে কেবলমাত্র চীনের পুলিশ প্রশাসনই নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের পুলিশ বিভাগই বেশ আশাবাদী।চীনের চিংকিং প্রদেশের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গোপন জায়গা থেকে মাদক খুঁজে বের করার কাজ এতদিন ধরে পুলিশ কুকুর করে এসেছে। তারাও যথেষ্ট ভালোভাবে এই কাজ করে থাকে। 

তবে এমন কিছু খুব ছোট জায়গা রয়েছে, যেখানে কুকুরেরা প্রবেশ করতে পারে না সহজে। সেখানে এই বিশেষ প্রজাতির কাঠবিড়ালি দল বেশ সফলভাবে কাজ করে দেখাচ্ছে। বিজ্ঞানী এবং প্রশিক্ষকদের দ্বারা দীর্ঘ গবেষণার পরেই এই বিশেষ প্রজাতির কাঠবিড়ালির দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। 

চীনের পুলিশ প্রশাসনের আশা যে, খুব তাড়াতাড়ি এই কাঠবেড়ালি দলের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হলেই পুলিশে যোগ দেবে তারা। প্রধানত রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, গুদামঘর, এমন বিভিন্ন গোপন স্থান যেখানে সহজে মানুষ কিংবা কুকুর কাজ করতে পারবে না, সেখানে এই কাঠবেড়ালির দলকে কাজে লাগানো হবে। তবে কেবলমাত্র এই সমস্ত স্থানে নয়, সীমান্ত অঞ্চলে মাদক পাচার রুখতেও ব্যবহার করা হবে এদেরকে।

চীনের পুলিশ প্রশাসন একবার এই কাজে সফল হতে পারলে চীন তথা গোটা বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবার মাদক পাচার রুখতে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেবে কাঠবিড়ালির দল। এই গবেষণার ফল সফল হলেই খুব তাড়াতাড়ি কাঠবেড়ালিরা দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠতে চলেছে মাদক পাচারকারীদের কাছে।




‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন