সমকালীন প্রতিবেদন : যন্ত্রনায় কাতর হয়েছিলেন তিনি। মায়ের শেষ সময় মায়ের সঙ্গে থাকতে পারেন নি। মায়ের সঙ্গে শেষ দেখা হয় নি। দেখভাল করতে পারেননি তাঁর। এই বেদনা কুরে কুরে খাচ্ছিল মানুষটাকে।
শেষ পর্যন্ত জীবনের যাবতীয় সঞ্চয় ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে বিনামূল্যের বৃদ্ধাশ্রম গড়লেন ঔরঙ্গবাদের বাসিন্দা ধনরাজ হাজারে। যে প্রবীণদের দেখভাল করার মতো কেউ নেই, তাঁদের ঠিকানা এখন ধনরাজ আশ্রম।
এই মুহূর্তে নিজেকে অনেকটা ক্ষমা করতে পেরেছেন। মনে মনে বলছেন, কিছু তো একটা করতে পারলাম। জীবনে ২৫ বছর ধনরাজ জীবিকার কারণে থাকতেন মুম্বাইয়ে। মা সঙ্গে থাকতেন না। তিনি মায়ের জন্য কাতর থাকতেন।
জীবনপ্রান্তে ঔরঙ্গাবাদের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান। সেখানে তাঁকে দেখভাল করার মতো কেউ ছিল না। এদিকে, আর্থিকভাবে পাশে থাকলেও কর্মব্যস্ততায় কিছুতেই গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছিল না ধনরাজের। এর মধ্যে মায়ের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় বিপুল মানসিক আঘাত পান ধনরাজ। নিজেকে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছিলেন না। তখনই বৃদ্ধাশ্রম গড়ার কথা মাথায় আসে। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে জীবনের যাবতীয সঞ্চয় ৫০ লক্ষ টাকা দান করে পার্বতী বাবাজি হাজারে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন ধনরাজ হাজারে। ওই ট্রাস্টে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানও।
২০২০ সালে নির্মাণ শেষ হয় বৃদ্ধাশ্রমের ভবনটির। যেখানে ২০ জন প্রবীণের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি তাঁদের স্বাস্থ্যের দেখভাল করে থাকে পার্বতী ট্রাস্ট। ধনরাজ জানান, এই বৃদ্ধাশ্রম কোনও নির্দিষ্ট জাত বা ধর্মের মানুষের নয়, সকলের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন