সমকালীন প্রতিবেদন : প্রথা অনুযায়ী এক বছর পর পর আমের ফলন বেশি হয়। এবছর প্রায় ২০/২৫ দিন আগেই মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ একাধিক জেলায় ব্যাপক আমের মুকুল ধরেছে। ফাল্গুন মাসের প্রথম থেকেই জেলার বিভিন্ন আমবাগানে গাছ ছেয়েছে মুকুলে। অনেক গাছে মাঘ মাসেই মুকুল এসেছে।
এবছর আবহাওয়া এখনও পর্যন্ত অনুকূল থাকায় এবং আমের মুকুল দেখে ভাল ফলনের আশা করছেন জেলার আম চাষি ও বাগান মালিকেরা। এখনও পর্যন্ত পরিবেশ বেশ অনুকূল। আশাবাদী আম চাষীরা। মৌমাছিতে ভরে গিয়েছে চারিদিক।
আম চাষের সহযোগী চাষ হলো মধু চাষ। আমের মধু অত্যন্ত উন্নত মানের। কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবছর বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। চাষিদের একাংশের মতে, গত বছর ছিল আমের শুখা মরসুম (অফ ইয়ার)।
তবে এবছর এখনও পর্যন্ত অকাল বৃষ্টি না হলেও ফাল্গুনের কুয়াশা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন চাষিদের একাংশ। কুয়াশা উধাও। চাষিরা বলছেন, এই কুয়াশার কারণে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকজনিত অসুখ, রোগ পোকার আক্রমণ বাড়ে। সব দিক এখন পর্যন্ত অনুকূল। তবে এই মরসুমে হঠাৎ যদি শিলাবৃষ্টি হয়, তাহলে সব সর্বনাশ হয়ে যাবে।
এই সময় সাধারণত কুয়াশা থাকে, যা আমের মুকুলের ক্ষতি করে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই লক্ষণ নেই। কুয়াশা, মেঘলা আবহাওয়া, বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকলে বা দিনের বিভিন্ন সময়, রাত্রে আবহাওয়া উষ্ণ থাকলে আমের সাদাগুঁড়ো রোগ দেখা দিতে পারে বলে মত উদ্যানপালন বিশেষজ্ঞদের।
এক্ষেত্রে আমগাছের কচিপাতা, ফুলের থোকা এবং ডালের ডগায় সাদা গুঁড়ো রোগ দেখা যায়। এভাবে মুকুল নষ্ট হলে আমের ফলনও কমে যায়। তবে কুয়াশা উধাও হতেই ভাল ফলনের আশা করছেন চাষিরা। তাই এবার ভালো লাভের মুখ দেখবে বলেই আমচাষীদের আশা। এখন যথেষ্ট মুকুল ধরার পরেও আমের পোকা আসতে পারে নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন