সমকালীন প্রতিবেদন : বিয়ের জন্য প্যান্ডেল বাঁধার কাজ শেষ। আত্মীয়–পরিজন প্রায় সবাই চলে এসেছে। রান্নার কাজও অনেকটা এগিয়ে গেছে। এরই মধ্যেই বাড়িতে হাজির পুলিস এবং প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে, জানতে পেরে সেই বিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করলেন প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার হেলেঞ্চা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমোড়খোলা গ্রামের এক নাবালিকার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল বনগাঁর পাইকপাড়া এলাকার এক যুবকের। শুক্রবার রাতে সেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বিশেষ সূত্রে মারফত এই বিয়ের খবর পৌঁছায় প্রশাসনের কাছে।
এদিন দুপুরে বিয়েবাড়িতে যখম আত্মীয়স্বজনে গমগম করছে, সেই সময় সেই বিয়েবাড়িতে হাজির বাগদা থানার পুলিশ, পঞ্চায়েতের সরকারি প্রতিনিধি, পঞ্চায়েত সদস্য সহ অন্যান্যরা। তাঁরা মেয়ের বাবা–মাকে জানান, নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া আইনত অপরাধ। আর তাই এই বিয়ে আপাতত বন্ধ রাখতে হবে।
প্রশাসনের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সমস্ত কিছু শুনে শেষপর্যন্ত নাবালিকার পরিবার এই বিয়ে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। পাশাপাশি, লিখিত মুচলেকা দিয়ে জানান, মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তারা মেয়ের বিয়ে দেবেন না।
আপাতত আবার পড়াশোনা করবে ওই নাবালিকা। সে যাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাগুলি পেতে পারে, তার ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। সরকারি প্রতিনিধিদের আশ্বাসে অনেকটাই মানসিকভাবে জোর পেয়েছেন নাবালিকার পরিবারের লোকেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন