সমকালীন প্রতিবেদন : মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীর পুণ্যলগ্নে ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে স্নান সারলেন লক্ষ লক্ষ মতুয়া ভক্ত। ডাঙ্কা, কাসর আর হরি বলো ধ্বনীতে মুখরিত হয়ে উঠলো ঠাকুরবাড়ি চত্বর। কামনা সাগরে স্নান সেরে মন্দিরে পুজো দেওয়ার ঢল নামলো মতুয়া ভক্তদের মধ্যে।
রবিবার থেকে শুরু হল এবছরের মতুয়া ধর্মমেলা। মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের আরাধ্য দেবতা হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২ তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে এবছরও উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে শুরু হয়েছে এই মহা ধর্মমেলা। ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে বসেছে মেলা।
এই ধর্ম মহামেলা উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই মতুয়া ভক্তদের উদ্দেশ্যে টুইট বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও। শনিবার ঠাকুরবাড়িতে হাজির হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সনুয়াল।
এর পাশাপাশি ঠাকুরবাড়িতে হাজির হন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এসেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারও। দুজনেই অবশ্য জানিয়েছেন, সাংসদ বা বিধায়ক হিসেবে নয়, মতুয়া ধর্মের লোক হিসেবে তাঁরা এই উৎসবে হাজির হয়েছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, 'রাজ্যে যেভাবে তৃণমূল সরকারের একেরপর এক দূর্নীতির ঘটনা ধরা পরছে, তাতে রাজ্যের মানুষ অসন্তুষ্ট। শুধু মতুয়ারাই নন, রাজ্যের সমস্ত স্তরের মানুষই আর এই চোরের সরকারকে চাইছেন না।'
বিধায়ক অসীম সরকার বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন শুনে খুশি হলাম। একজন মতুয়া ভক্ত হিসেবে তাঁকে তারজন্য প্রনাম জানাই। তবে আরও খুশি হতাম, যদি তিনি সশরীরে এই উৎসবে হাজির হয়ে সাধারণ মতুয়া ভক্তদের সঙ্গে মিলিত হতেন।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন