সমকালীন প্রতিবেদন : শিক্ষামূলক ভ্রমণের ফী বৃদ্ধি, কলেজ সোশ্যালের হিসাব সঠিক সময়ে না দেওয়া সহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। মঙ্গলবার কলেজের অধ্যক্ষের ঘরের সামনে দীর্ঘক্ষণ এই বিক্ষোভ চলে।
আন্দোলনকারী তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীদের অভিযোগ, কলেজের ভুগোল বিভাগে শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য পড়ুয়াপ্রতি ৩২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এই টাকা দেওয়া বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের কাছেই অসম্ভব।
এই অবস্থায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভুগোল বিভাগের একজন শিক্ষক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে মেসেজ করে জানান, এই শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য ৭৫ নম্বর রয়েছে। যদি কেউ না যায়, তাহলে তাকে নট ক্লিয়ার বলে গণ্য করা হবে।
এই মেসেজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। বনগাঁ কলেজ ইউনিটের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি রাজেশ দে প্রশ্ন তুলেছেন, একজন দরিদ্র পড়ুয়া যদি ৩২০০ টাকা দিয়ে শিক্ষমূলক ভ্রমণে যেতে না পারেন, তাহলে তাকে নট ক্লিয়ার করে দেওয়ার কথা বলার অধিকার একজন শিক্ষককে কে দিয়েছে ?
রাজেশ দে এর আরও অভিযোগ, বনগাঁ কলেজে আর্থিক অনিয়ম হচ্ছে। সম্প্রতি কলেজ ফেস হয়ে গেলেও তার সঠিক হিসেব এখনও কলেজ কর্তৃপক্ষ পেশ করে নি। এব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ কথা দিয়েছিলেন, ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফেস্টের হিসেব সামনে আমবেন। কিন্তু একমাস পরেও সেই হিসেব করা হয় নি।
এব্যাপারে বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড: বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, কলেজ ফেস্টের সমস্ত খরচ এবং তার হিসেবের কাজ সেষ হয় নি। সেই কাজ শেষ হলেও কলেজ পরিচালন কমিটির সামনেই গোটা হিসেব পেশ করা হবে।
এর পাশাপাশি, ভুগোর বিভাগের শিক্ষামূলক ভ্রমণের ক্ষেত্রে যেসব ছাত্রছাত্রীর আর্থিক সমস্যা থাকবে, তাদের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে। এব্যাপারে বিভাগীয় সিক্ষককে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অধ্যক্ষ জানান।
এদিন নিজেদের দাবির সমর্থনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বনগাঁ কলেজ ইউনিটের পক্ষ থেকে কলেজের অধ্যক্ষের ঘরের সামনে তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁরা স্লোগানও দেন।
পরে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে তাঁরা স্মারকলিপি জমা দেন। সেই স্মারকলিপির কপি তাঁরা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং দলীয় নেতৃত্বের কাছেও পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন