Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৫ মার্চ, ২০২৩

ঠাকুরনগরে বারুণীর মেলায় বিল কাটা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিতর্ক

 

Baruni-fair-in-Thakurnagar

সমকালীন প্রতিবেদন : মেলা পরিচালনার সরকারি অনুমোদন না পাওয়া সত্ত্বেও শান্তনু ঠাকুর এবং তার অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ ঠাকুরনগর মতুয়া মেলায় আগত দোকানদারদের কাছ থেকে বিল কাটছে। 

বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ করলেন সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। যদিও মমতা ঠাকুরের অভিযোগের বিষয়ে শান্তনু ঠাকুরের পক্ষের কোনও প্রতিনিধির পাল্টা বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

মতুয়া সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১২ তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে আগামী রবিবার থেকে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে বারুণীর মেলা বসছে। প্রতি বছর এই মেলায় দোকান দেন ছোট ব্যবসায়ীরা। মেলা পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে সেই দোকানদারদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয়।

এব্যাপারে মমতাবালা ঠাকুরের বক্তব্য, গত তিন বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং করোনার কারণে দোকানদারদের সেভাবে ব্যবসা হয় নি। ফলে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সেই কারণে মেলা কমিটির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, এবছর দোকানদারদের কাছ থেকে কোনও চাঁদা বাবদ বিল কাটা হবে না।

এদিকে, ইতিমধ্যেই ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ব্যানার টাঙিয়ে দোকানদারদের কাছ থেকে বিল কাটার কথা বলা হচ্ছে। আর সেখানেই আপত্তি মমতাবালা ঠাকুরের। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি অনুমোদন না পেয়েও শান্তনু ঠাকুর এবং তাদের পরিচালিত সংঘের লোকেরা দোকানদারদের বিল কাটার জন্য একপ্রকার বাধ্য করছে।  

এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মমতাবালা ঠাকুরদের পক্ষ থেকে মোট তিনজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি, দোকানদারেরা যাতে মেলায় দোকান দেওয়ার জন্য কাউকে চাঁদা না দেন, সেব্যাপারে মাইকে ঘোষণা রাখছেন।

সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের দুই গোষ্ঠীর ভিন্ন অবস্থানে দ্বিধাবিভক্ত দোকানদারেরা। একগোষ্ঠী চাঁদা না দেওয়ার কথা মাইকে ঘোষণা করলেও পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে দোকানদারদের একটা বড় অংশ বিল কাটতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের বক্তব্য, বিল না কাটলে আগামী বছর থেকে হয়তো দোকানদারি করার সুযোগই পাবেন না তারা।

উল্লেখ্য, পারিবারিক বিবাদের জেরে সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘ ইতিমধ্যেই দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। দুই গোষ্ঠীর মতবিরোধের ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মতুয়া ভক্তদের বিরম্বনায় পরতে হচ্ছে অন্যদিকে, বারুণীর মেলায় অংশ নেওয়া দোকানদারদের ভেতরেও দ্বিধা কাজ করছে।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন