সম্পদ দে : ছোটবেলা থেকে স্কুলে হোক কিংবা পাড়ার ক্লাবে, দৌড় প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছি আমরা প্রায় প্রত্যেকেই। কেউ ফার্স্ট, সেকেন্ড বা থার্ড হয়েছি, আবার কেউ আশা রেখেছি সামনের বছরের। দৌড়ের ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকেরই অনুপ্রেরণা মিলখা সিং, কিংবা উইসেন বোল্ট এর মতো মানুষরা।
তবে কেবলমাত্র কি তারাই একমাত্র অনুপ্রেরণা সকলের জন্য? আসলে না। সকলের জন্য অনুপ্রেরণার এক নতুন নাম আজকাল জায়ন ক্লার্ক। আমেরিকার বাসিন্দা জায়ন ক্লার্ক। সম্প্রতি দৌড়ে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তুলেছেন।
তবে ব্যাপারটা এত সহজ নয়। শরীরে একটাও পা নেই ক্লার্কের। এমনকি কোমর থেকে শরীরের নিচের অংশ পর্যন্ত নেই। তবে সেই অবস্থাতেও হার না মেনে দৌড়ে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম তুলে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই যুবক।
নেট দুনিয়ায় তাঁর এই ভিডিও এবং ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই একপ্রকার সকলের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছেন ক্লার্ক। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইনস্টাগ্রামে তাঁর একটি ভিডিও যথেষ্ট ভাইরাল। তাতেই দেখা যাচ্ছে, ক্লার্ক নিজের হাতের উপর ভর দিয়েই প্রায় কুড়ি মিটার দৌড়ে গড়লেন বিশ্ব রেকর্ড।
আর তাঁর এই প্রতিভা দেখে রীতিমত চমকে উঠেছে সারা বিশ্ব। ইনস্টাগ্রামে এই ভিডিওটি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। যেখানে দেখা যায়, ক্লার্ক কেবলমাত্র নিজের হাতের উপর ভর দিয়েই একটি সুস্থ সবল সাধারন মানুষের থেকেও দ্রুত গতিতে দৌড় লাগালেন কুড়ি মিটার।
বড় হওয়ার পরে কোনও দুর্ঘটনার কারণে নয়, শৈশব থেকেই কোমরের নিচের বাকি অংশ নেই তাঁর শরীরে। শরীরে দুটি পা না থাকার কারণে অন্যান্য সমস্ত মানুষদের মতো সহজ জীবন কাটেনি ক্লার্কের। দুটি পা না থাকায় জীবনে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন করতে হয়েছে তাঁকে।
তবে হার মানেন নি ক্লার্ক। সাহস যুগিয়ে গেছেন নিজের। শেষ পর্যন্ত নিজের উপর ভরসা রাখার পরে গোটা বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণার এক উদাহরণ হয়ে উঠেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল ক্লার্কের সেই ভিডিও দেখে বেশ অবাক গোটা নেট দুনিয়া।
সকলেরই একই প্রশ্ন, কেবলমাত্র হাতের ওপর ভর দিয়ে কিভাবে এত অনায়াসে এত দ্রুত দৌড়াতে পারলেন ক্লার্ক। এই ব্যাপারে ক্লার্কের উত্তর, জীবনে প্রচুর ওঠানামা থাকলেও বছরের পর বছর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এটা।
কেবলমাত্র ক্লার্ক কেন, সঠিক পরিশ্রম করলে যে কেউ সফল হতে পারেন নিজের জীবনে। বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পরে জায়ন ক্লার্ক হয়ে উঠেছেন সকলের জন্য এক অনুপ্রেরণা। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, জীবনে হাজার বাধা বিপত্তি আসলেও কোনওমতেই হাল ছাড়া যাবে না।
কঠিন থেকে কঠিনতম রাস্তা পেরোনোর পরেই পাওয়া যাবে জীবনের সফলতার চাবিকাঠি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ক্লার্কের সেই ভিডিও যেন আজ তার সেই অদম্য ইচ্ছা এবং লড়াই শক্তির প্রমাণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন