সমকালীন প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের আরাধ্য দেবতাদের ভুল নাম উচ্চারণ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের এক সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত নাম উচ্চারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, অন্য আর এক সংঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুরের যুক্তি, এটা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি মালদার একটি সভা থেকে বক্তব্য রাখছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেখানে তিনি বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, মতুয়াদের ভোট পেতে বিজেপি নাগরিকত্ব দেওয়ার নাম করে ক্যা ক্যা করছে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারই মতুয়াদের পাশে রয়েছে।
এব্যাপারে রাজ্য সরকার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য এবং ঠাকুরবাড়ির জন্য কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, তার বিবরণ দিতে গিয়ে মতুয়াদের আরাধ্য দেবতা হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম ভুল উচ্চারণ করে ফেলেন। আর তাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শান্তনু ঠাকুর নিজে ফেসবুক লাইভে দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মতুয়াদের অসম্মান করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে মতুয়াদের আরাধ্য দেবতাদের বিকৃত নাম উচ্চারণ করেছেন। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাইলে, তার প্রভাব পরবে ভোটবাক্সে।
যদিও এব্যাপারে মমতাবালা ঠাকুর জানিয়েছেন, বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেক সময়েই ভুল শব্দ বেরিয়ে যায়। এটি মুখ্যমন্ত্রীর অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি। তবে মঞ্চে উপস্থিত মতুয়া প্রতিনিধির এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে শুধরে দেওয়া উচিৎ ছিল। মুখ্যমন্ত্রী যাতে এই ত্রুটি শিকার করে নেন, তারজন্য মতুয়া মহা সংঘের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে ভুল উচ্চারণ এবং তাকে কেন্দ্র করে মতুয়া সম্প্রদায়ের দুপক্ষের যুক্তি, পাল্টা যুক্তিতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এখন সেটাই দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন