সমকালীন প্রতিবেদন : শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় ধৃত তাপস মন্ডলের সঙ্গে কতটা যোগ ছিল উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বৃদ্ধাশ্রমের ? এখন সেই প্রশ্নই জোড়ালো হয়ে উঠেছে। এই বৃদ্ধাশ্রমের সঙ্গে নিজেকে জড়িত রাখার পেছনে কী শুধুই সামাজিক দায়িত্ব পালন, না কি তার পেছনের বড় কোনও স্বার্থ ছিল তাপস মন্ডলের ? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে চলেছেন এলাকার মানুষ।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অর্ন্তগত ইতিনা কলোনীতে সিনিয়র সিটিজেনস হোম নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে। বৃদ্ধাশ্রমের বোর্ডের লেখা অনুযায়ী, এই বৃদ্ধাশ্রমটি পরিচালিত হয় বারাসতের মিনার্ভা এডুকেশনাল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দ্বারা।
প্রায় এক বিঘা জমির উপর অবস্থিত এই বৃদ্ধাশ্রমে সহায়–সম্বলহীন প্রায় ২৫ জন বৃদ্ধ–বৃদ্ধা রয়েছেন। তাঁদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা করে আশ্রম কর্তৃপক্ষ। আর এই বৃদ্ধাশ্রমেই মাঝে মাঝে আসতেন তাপস মন্ডল। এমনকি তিনি আর্থিক সহযোগিতাও করতেন।
স্থানীয়রা জানালেন, কিছুদিন আগেও এসেছিলেন তাপস মন্ডল। তখন তাপস মন্ডলের ব্যাপারে স্থানীয়রা তেমন গুরুত্ব না দিলেও বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে তিনি ধরা পরায়, বিষয়টি নিয়ে হইচই পরেছে। আর এই জায়গা থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, নিয়োগ দুর্নীতির অবৈধ টাকা কী এই বৃদ্ধাশ্রমে ঘুড়পথে কাজে লাগানো হতো ?
যে ওয়ার্ডে এই বৃদ্ধাশ্রমের অবস্থান, সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক দাত্তচৌধুরীও মাঝেমধ্যে এই বৃদ্ধাশ্রমে আসতেন। বৃদ্ধাশ্রমের মহারাজের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। আর তার কারণেই মহারাজের আমন্ত্রণে তিনি মাঝেমধ্যে এখানে আসেন। তবে তাপস মন্ডলের সঙ্গে তাঁর কোনও সরাসরি যোগাযোগ নেই বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর।
এদিকে, এই বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনার জন্য যেহেতু তাপস মন্ডল আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতেন, বর্তমানে তিনি জেলে থাকায় বৃদ্ধাশ্রম কর্তৃপক্ষ আর্থিক সহযোগিতা কতটা পাবেন, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আর তাতে বৃদ্ধাশ্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে কি না, তা ভবিষ্যৎ বলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন